ক্রীড়া ডেস্ক:
বিসিবি একাদশের বিপক্ষে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে বিশ্বজয়ী যুবাদের দাপটের মুখে একেবারে বিপর্যন্ত হয়ে পড়ে সফরকারি জিম্বাবুয়ে। ৭ উইকেটে ২৯১ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করেছে তারা। বিসিবি একাদশের শাহাদাত হোসেন নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩টি এবং অধিনায়ক আল-আমিনের শিকার হয় দুটি উইকেট।
প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনের প্রথম সেশনটি ছিল জিম্বাবুয়ানদের। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম সেশনে বিনা উইকেটে প্রায় একশ রান তুলে ফেলে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের দাপট শুরু হয় মূলত এরপরেই, দ্বিতীয় সেশনে। এসময়ে একে একে ৬টি উইকেট তুলে নেয় তরুণদের নিয়ে গড়া বিসিবি একাদশ।
তরুণ শাহাদাত হোসেন একাই তুলে নেন তিনটি উইকেট। অপর তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম তার ঝুলিতে একটি উইকেট ভরলেও বেশ ভুগিয়ে ছাড়েন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। যাতে বিনা উইকেটে ১০৫ থেকে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান নিয়ে চা বিরতিতে যায় জিম্বাবুয়ে।
বিরতি শেষে তৃতীয় সেশনের শুরুতেই সপ্তম উইকেট হারায় সফরকারীরা। ৮৯ বলে ২ চার ও ১ ছয়ে ৩৪ রান করা টিমিসেন মারুমাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান আল-আমিন হোসেন। যাতে ২২৬ রানেই সপ্তম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
তবে এরপর মুম্বা ও এনদলোভু মিলে অষ্টম উইকেটে জুটি বেঁধে কাটিয়ে দেন দিনের বাকী সময়। দলকে স্বস্তিতে ফেরানো এ জুটিতে ৬৫ রান তোলেন এই দুজন। যারমধ্যে ফিফটি পূরণ করে ১০৫ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত ছিলেন চার্ল মুম্বা। আর তার সঙ্গী আইনস্লে এনদলোভু অপরাজিত ছিলেন ২৫ রানে।
এদিকে, বাংলাদেশকে যুব বিশ্বকাপ জেতানো পাঁচ ক্রিকেটার খেলছেন প্রস্তুতি ম্যাচে। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বোলিং করার সুযোগ পাওয়া শরিফুল ও শাহাদাত, দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন দুজনই।
পেসার শরিফুল ইসলাম ১৫ ওভার বোলিং করে ৫ মেনেডে ৪৫ রান খরচায় নিয়েছেন ১টি উইকেট। অপরদিকে, স্পিনার শাহাদাত হোসেন ৮ ওভার বোলিং করে দুই মেডেনে মাত্র ১৬ রান খরচায় নিয়েছেন ৩টি উইকেট।
বাকি তিনজনের মধ্যে অবশ্য আকবর আলি উইকেটকীপার, আর পারভেজ হোসেন ইমন ও মাহমুদুল হাসান জয় মূলত ব্যাটসম্যান। তাদের সুযোগ আসবে আগামীকালই। দেখা যাক, সুযোগ পেয়ে কতটা কাজে লাগাতে পারেন এই তিনজন।