স্পোর্টস ডেস্ক :
ক্যারিয়ারের শেষদিন পর্যন্ত লিওনেল মেসি বার্সেলোনাতেই থাকবেন কিন্ত বার্সা ছাড়াটা যেন ফুটবল সমর্থক তথা বার্সা ভক্তদের কাছে একটি সপ্তম আশ্চর্যের ঘটনা। মেসির ক্ষেত্রে এটা ঘটবে- তা যেন চিন্তারও বাইরে। কিন্তু যেভাবেই হোক, মেসি কিন্তু প্রকাশ্যেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ন্যু ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়ার। কেন? সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিলো বার্সা বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে মেসির সম্পর্কের অবণতি। যদিও শেষ পর্যন্ত বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যু মেসিকে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন। অনেকটা বাধ্য হয়েই মেসি থেকে গেলেন ন্যু ক্যাম্পে। চাইলে তিনি নিজের ক্লাবকে আদালতের কাঠগড়ায় তুলতে পারতেন। কিন্তু মেসি তেমনটা হোক - তা চাননি।
মেসি থেকে গেলেও বার্সা সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যুর বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন। যেদিন মেসি ব্যুরোফ্যাক্সের মাধ্যমে ক্লাবের কাছে বার্সা ছাড়ার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেছিলেন, তার পরদিনই ক্লাবটির সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যুর বিরোধীরা তার বিপক্ষে অনাস্থা ভোট সংগ্রহে মাঠে নামে। গত আগস্টেই বার্সা প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চাওয়া জর্দি ফারে হোসে মারিয়া বার্তেম্যুর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের ক্যাম্পেইন শুরু করেন। সভাপতি হিসেবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বার্তেম্যুর বিদায় ঘটতে পারে, যদি এই ক্যাম্পেইনে ১৬ হাজার ৫০০ জনের অধিক ব্যক্তির ভোট প্রয়োজন হবে।
এরই মধ্যে ক্যাম্পেইন পরিচালনাকারীরা লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। কারণ, বার্সা ক্লাব সদস্যদের মধ্যে থেকে মোট ১৬ হাজার ৫২১ অনাস্থা ভোট জমা পড়েছে বর্তমান সভাপতি হোসে মারিয়া বার্তেম্যুর বিপক্ষে। যাছাইকারীরা বলছেন, এই সংখ্যাটা জেনুইন। সুতরাং, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিদায় নিতে হচ্ছে বার্সার বর্তমান সভাপতিকে! মাদ্রিদভিত্তিক পত্রিকা দৈনিক মার্কা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, এরই মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে- হোসে মারিয়া বার্তেম্যু পদত্যাগ করার কথা চিন্তা করছেন। তেমনটা হলে, বার্সার গত ১০০ বছরের ইতিহাসে বার্তেম্যু হবেন তৃতীয় সভাপতি, যিনি অনাস্থা ভোটে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবেন।
আগামী নির্বাচনে বার্সার সভাপতি প্রার্থী হতে ইচ্ছুক জর্দি ফারে বলেন, ‘বার্সায় তো সমস্যার পাহাড় জমে আছে। মেসি সমস্যাটা হচ্ছে বিশাল আইসবার্গের শুধুমাত্র ভাসমান অংশ। বার্সা প্রেসিডেন্ট এবং বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে গত এক বছর ধরেই অবব্যস্থাপনার অভিযোগ রয়েছে।’