স্পোর্টস ডেস্কঃ
দিনব্যাপী নানান জল্পনা কল্পনা শেষে প্রকাশিত হল ফলাফল। টানা চতুর্থবারের মত বাংলাদেশ ফুটবলের কর্তৃত্ব গেল কাজী সালাউদ্দিনের হাতেই। ভোটে জিতে বাফুফের সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি। শনিবার (৩ অক্টোবর) বাফুফে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন তিনি।
বহুল প্রতীক্ষিত এই নির্বাচনে ১৩৯ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৩৫টি। দুজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন না, ভোট দেননি আরও দুজন।
শনিবার বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয় বাফুফে নির্বাচন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলা নির্বাচনে ১৩৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ভোট দেন ১৩৫ জন। মোট ৯৪টি ভোট পেয়ে আবারো সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। শেষমুহূর্তে নিজেকে সভাপতি প্রার্থী ঘোষণা করা বাদল রায় পেয়েছেন ৪০টি ভোট। মাত্র ১টি ভোট পেয়েছেন আরেক প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক।
এছাড়া সিনিয়র সহ সভাপতি পদেও বহাল রইলেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তিনি পেয়েছেন মোট ৯১টি ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪টি ভোট।
এই নির্বাচনে যে চারজন ভোট দেননি তারা হলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাউন্সিলর, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউন্সিলর ও ফরিদপুর ডিএফএ কাউন্সিলর।
নির্বাচনে নির্বাহী পরিষদের ২১টি পদে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ৪৭ প্রার্থী। তাদের মাঝে সভাপতি পদে ছিলেন তিনজন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দুইজন, সহ-সভাপতি পদে ৮ জন এবং সদস্য পদে ৩৬ জন।
এর আগে ২০০৮ সালে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবার বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। ২০১২ সালে সাবেক ফুটবলার জাকারিয়া পিন্টু প্রার্থী হলেও সরে যান। সেবার শেষ দিকে সভাপতি প্রার্থী হয়ে পরে আবদুর রহিমও সরে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রবল বিরোধিতার পরও সালাউদ্দিন সভাপতি হয়েছেন।
সান নিউজ/ বিএম