ক্রীড়া প্রতিবেদক:
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের পর থেকেই যুবাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে গণমাধ্যমে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় গুঞ্জন; বিশ্বকাপ তো জয় শেষ, এরপর কি হবে এই ক্রিকেটারদের? এ ধরণের প্রশ্নের সরাসরি কোন উত্তর দেননি বিসিবি কর্মকর্তারা।
যদিও ইতিবাচক কথাই বলছিলেন সবাই, তারপরও পরিষ্কার উত্তরের আশা ছিল ক্রিকেটভক্ত সমর্থকদের। বিশ্বকাপ জয়ের পরদিন মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতির কণ্ঠেও প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল আশাবাদের সুর। এ কথার প্রতিধ্বনি তুলেছিলেন। নিয়েছিলেন, তারা এ নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন। দিয়েছিলেন কার্যকর পরিকল্পনাও প্রণয়নের ইঙ্গিত।
অবশেষে আজ আকবর আলিদের দেশে ফেরার পর জানা গেল বিসিবির পরিকল্পনা। মিরপুরে বিশ্ববিজয়ী বীরদের বরণ করে নেয়ার পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সেসব কথাই জানিয়েছেন বিসিবি অধিকর্তা নাজমুল হাসান পাপন। বললেন, বিশ্বজয়ী ক্রিকেটাররা যেন হারিয়ে না যায়, সে জন্য তাদের নিয়ে বড় পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বিসিবি।
অধিনায়ক আকবর আলিকে পাশে বসিয়ে বিসিবি সভাপতি প্রতিষ্ঠানের পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়ে বলেন, ‘এই দলটিকে সম্পূর্ণ ইনট্যাক্ট রাখা হবে অনূর্ধ্ব-২১ দল হিসেবে। তাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোচিং স্টাফ এবং সর্বোচ্চ প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটি নিশ্চিত করা হবে। যত রকমের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়া যায় তার সবই দেয়া হবে। আগামী দুই বছর একসঙ্গে রেখে ট্রেনিং দেয়া হবে এবং এই পরবর্তী দুই বছর, প্রতি ক্রিকেটারকে মাসে এক লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক দেয়া হবে। দুই বছর পর পারফরম্যান্স বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।’
এর আগে বিশ্বকাপ জয় করে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশে ফেরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল। দেশে ফিরে বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মিরপুর শেরে বাংলা হোম অব ক্রিকেটে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। আর সেখানে আকবরবাহিনীরা লাল গালিচায় মাঠে প্রবেশ করেন। পরে জুনিয়র ক্রিকেটারদের কেক খাইয়ে সংবর্ধনা দেন বিসিবি সভাপতি পাপন।
প্রসঙ্গত, গত ০৯ ফেব্রুয়ারি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।