স্পোর্টস ডেস্ক:
মৌসুমের আগে বার্সেলোনায় একটা বড়সড় ঝড় বয়ে গেছে। বায়ার্নের কাছে লজ্জাজনক হারের পর, ক্লাবের ইতিহাস সঙ্গী লিওনেল মেসির ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার ঘোষণা।
কোচকে অব্যাহতি, সুয়ারেজ-ভিদাল-র্যাকিটিচদের মতো অভিজ্ঞদেরকে ছাঁটাই। সবমিলিয়ে নিজের রাগ-ক্ষোভ সব উগরে দিয়েছেন মেসি। মাঠে নামার পর অবশ্য সবই ভুলে গেলেন। সেই চিরচেনা মেসি। বল নিয়ে ছুটছেন, প্রতিপক্ষ ডিফেন্স ভেঙে এগোচ্ছেন, সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোর একের পর এক প্রচেষ্টা।
বার্সেলোনায় রোনাল্ড কোম্যান অধ্যায়ের শুরুটা হলো দারুণ এক জয়ে। ঘরের মাঠে রোববার রাতে ৪-০ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। এই জয় দিয়ে কাম্প নউয়ে শুরু হলো রোনাল্ড কুমান অধ্যায়। স্বাগতিকদের চারটি গোলই হয় প্রথমার্ধে। দুটি গোল করেন আনসু ফাতি, একটি লিওনেল মেসি। অন্যটি আত্মঘাতী।
তবে তাদের রক্ষণ ভাঙার সৃজনশীলতা ছিল মেসি-ফাতিদের খেলায়। পঞ্চদশ মিনিটে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। মাঝমাঠ থেকে বল পাওয়া জর্দি আলবার কাটব্যাকে চমৎকার ফিনিশিংয়ে জাল খুঁজে নেন ফাতি।
চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফাতি। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে দারুণ গতিতে এগিয়ে যান মেসি। বাঁদিকে অরক্ষিত তরুণ ফরোয়ার্ডকে খুঁজে নেন বার্সেলোনা অধিনায়ক। ঠাণ্ডা মাথায় বাকিটা সারেন তরুণ ফরোয়ার্ড, কাছের পোস্ট ঘেঁষে বল পাঠান জালে।
২৬ মিনিটে জালের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন জর্দি আলবা। খুব কাছ থেকে তার শট কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন ভিয়ারিয়াল গোলরক্ষক সের্হিও আসেনহো। ৩৫ মিনিটে সফল স্পট কিকে ব্যবধান ৩-০ করেন মেসি। বলে হাত ছোঁয়াতে পেরেছিলেন আসেনহো, কিন্তু জালে যাওয়া ঠেকাতে পারেননি। ফাতিকে ভিয়ারিয়াল অধিনায়ক মারিও ফাউল করায় পেনাল্টি পেয়েছিল বার্সেলোনা।
পাঁচ মিনিট পর লা লিগায় ফেরার ম্যাচে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো। খুব কাছ থেকে তার চেষ্টা কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক।
বিরতির ঠিক আগে সৌভাগ্যের গোলে ব্যবধান আরও বাড়ায় বার্সেলোনা। এই গোলেরও উৎস প্রতি আক্রমণ। ফাতির কাছ থেকে বল পেয়ে এগিয়ে যান মেসি। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে থাকা সের্হিও বুসকেতসকে খুঁজে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। তার চমৎকার ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন পাউ তরেস।
প্রথমার্ধে নিজেদের অর্ধে গুটিয়ে থাকা ভিয়ারিয়াল দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে। তবে সেভাবে নেতোকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি তারা।
৬৫তম মিনিটে ডান দিক থেকে বল নিয়ে আড়াআড়ি ঢুকে নিজের ট্রেডমার্ক শট নিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু পরাস্ত করতে পারেননি গোলরক্ষককে।
খেলায় গতি আনতে ৭০তম মিনিটে উসমান দেম্বেলে ও পেদ্রিকে মাঠে নামান বার্সেলোনা কোচ। ১০ মাস পর প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে ফিরলেন দেম্বেলে। অভিষেক হলো ১৭ বছর বয়সী উইঙ্গার পেদ্রির। পরে মাঠে নামেন ত্রিনকাও, মিরালেম পিয়ানিচও।
তবে নিজেদের গুটিয়ে নেয়নি ভিয়ারিয়াল। আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলে যায় তারা। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের মধ্যই ৮৬ মিনিটে সুযোগ আসে মেসির সামনে। তার শট আবারও কর্নারের বিনিময়ে ব্যর্থ করে দেন গোলরক্ষক।