স্পোর্টস ডেস্ক :
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনকে সামনে রেখে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ পোস্ট দিয়ে মানহানির চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে বাফুফে।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম.এইচ তানভীর বাফুফের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ জারি করেছেন।
লিগ্যাল নোটিশ গ্রহিতাগণ হচ্ছেন- যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউব/ফেসবুক আইডি, গ্রুপ, পেইজ এবং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য প্রচার ও পরিবেশন করছেন তারা।
লিগ্যাল নোটিশের অভিযোগগুলোর মধ্যে উল্লেখিত হচ্ছে-
‘গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ‘বাফুফে নির্বাচন-২০২০’ শিরোনামে একটি পোস্ট প্রকাশ হওয়ার পর তার কমেন্ট বক্সে কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীগণ কুরুচিপূর্ণ, অসৌজন্যমূলক, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছেন।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর হতে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য সামাাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বিভিন্নভাবে ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করে, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বাফুফের নাম, লোগো, বিভিন্ন অনুষ্ঠানের ছবি, ভিডিও ফুটেজ অনুমতিব্যতীত যত্রতত্র ব্যবহার করে বাফুফের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অসৌজন্যমূলক, মানহানিকর, আক্রমণাত্মক, ভিত্তিহীন মন্তব্যসহ ফেসবুক লাইভ, আন্দোলন, মানববন্ধন, অনশন, বিভিন্ন কর্মসূচির নামে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা বাফুফের নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হয়েও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। ফিফার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজেও একই ধরনের মন্তব্য করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে হেয় করেছে।
যেহেতু বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। এর কার্যক্রম জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বিস্তৃত তাই দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য দেশ ও আন্তর্জাতিকভাবে এর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে। যা সংক্রিয়ভাবে রাষ্ট্রের ওপর বর্তায়। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের এই আইনগত বিজ্ঞতি দ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, দায়িত্বশীল হয়ে গঠনমূলক, সৌজন্যমূলক ও উপদেশমূলক মন্তব্য করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
এ নোটিশ প্রদানের পর থেকে উপরে উল্লেখিত কর্মকান্ড থেকে বিরত না থাকলে তারা/তাদের বিরদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০২৮ অনুযায়ী ও বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এই লিগ্যাল নোটিশের অনুলিপি মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসক, র্যাবের মহাপরিচালক ও ঢাকা মেট্রোপুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন (সিটিটিসি)কে প্রেরণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/পিডি