স্পোর্টস ডেস্ক : বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন অবশেষে পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে লিখিতভাবে পদত্যাগপত্র দিতে হবে এবং তা বোর্ড সভায় অনুমোদন হতে হবে।
আরও পড়ুন : টিভিতে আজকের খেলা
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর স্থবির হয়ে পড়ে বিসিবি’র কার্যক্রম। এরপর অন্তরালে চলে যান পাপনসহ বেশিরভাগ পরিচালক। যারা দেশে আছেন তারাও বোর্ডে আসছেন না। আইসিসি’র নিয়মের কারণে হস্তক্ষেপও করছে না অন্তর্বর্তী সরকার। এই পরিস্থিতিতে আইসিসির নিয়ম ও বিসিবির গঠনতন্ত্র মেনে কি করা যায়, তা জানাতে বলেছিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।
বুধবার করণীয় ঠিক করতে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন বেশ কয়েকজন পরিচালক। সেখানে প্রভাবশালী পরিচালক মাহবুব আনাম অন্যদের কাছে নিশ্চিত করেন, সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সভাপতি নাজমুল হাসান। সে সহযোগিতা যে পদত্যাগ, সেটাও নিশ্চিত করেছেন এক পরিচালক।
আরও পড়ুন : পাকিস্তানে অনুশীলনে সিরিয়াস সাকিব
জানা যায়, পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন নাজমুল হাসান। যেকোন সময় ইমেইলে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠাতে পারেন। তবে এটা কার্যকর হবে বোর্ড সভার মাধ্যমে। বিসিবি সভাপতি পদত্যাগপত্র পাঠালে এই সভা ডাকা হবে। পরিচালকদের মধ্যে থেকে তখন একজনকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। এক পরিচালকের দাবি, সভার কোরাম পূর্ণ হতে অন্তত ৯ জন পরিচালকের উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন। বর্তমানে সেটা সম্ভব বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। আর বকিদের মধ্যে যারা স্বশরীরে তিন সভায় অনুপস্থিত থাকবেন তাদের পরিচালকের পদ বাতিল হবে।
নাজমুল হাসান পদত্যাগ করলেও পুরো বোর্ড এখনই ভাঙছে না, এ পরিকল্পনা নিয়েই এগুচ্ছেন দেশে থাকা পরিচালকরা। তবে অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে একযোগে সব পরিচালক পদত্যাগ করতেও রাজি আছেন। ২০১২ সালে সরকার মনোনিত সভাপতি হিসেবে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব শুরু করেন নাজমুল হাসান, পরে ২০১৩ সালের অক্টোবরে হন সভাপতি নির্বাচিত হন।
সান নিউজ/এমআর