নিজস্ব প্রতিবেদক :
সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে কি বিসিবি তার অবস্থান থেকে সরে এসেছে বা আসতে চাচ্ছে? ১৪ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছিলেন, ‘লঙ্কানরা যে কঠিন সব শর্ত দিয়েছে, তা মেনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে শ্রীলঙ্কা যাওয়া সম্ভব নয়।’
তিনি আরও জানিয়েছিলেন সাতদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে রাজি আমরা; কিন্তু এর বেশি নয়। এখন প্রশ্ন উঠেছে, বিসিবি কি ওই কোয়ারেন্টাইন ইস্যুতে ছাড় দেয়ার কথা ভাবছে?
আজ বুধবার মিডিয়ার সাথে আলাপে নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন কয়েকবারই বলেছেন, ‘সফর আয়োজনে লঙ্কান বোর্ডের সাথে আলাপে বিসিবি মানিয়ে নিতে প্রস্তুত।’
তার কথা, যেহেতু শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট ও বিসিবি আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সিরিজটি আয়োজনের ব্যাপারে কমিটেড যে, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা অংশ নিব এবং এটা আমরা এগিয়ে নিতে চাই। সে ক্ষেত্রে আমাদের দুই বোর্ডেরই চেষ্টা চলছে সিরিজটি আয়োজনের ব্যাপারে। আমি আবারও বলছি কোন এডজাস্টমেন্টের প্রয়োজন হলে আমরা করবো। সে ব্যাপারে আমাদের প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট আমাদের ফিডব্যাকটা যেন দেয়। সেভাবেই আমরা প্ল্যান করতে পারবো।’
বিসিবি সিইও লঙ্কান বোর্ডের ওপর কোনোরকম ক্ষোভ ঝাড়তে নারাজ। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, পুরো বিষয়টি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের উপর নির্ভর করছে না। তাদের সরকার ও কোভিড-১৯ টাস্ক ফোর্সের সিদ্ধান্তের উপর। আমরা যতটা জেনেছি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট তাদের সাথে যোগাযোগ করেছে, বোঝানোর চেষ্টা করছে আমাদের অবস্থান নিয়ে।’
তবে কি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ম্যাচ সংখ্যা কমিয়ে আনতে চাচ্ছে? তিন ম্যাচের বদলে এক বা দুই টেস্ট খেলার কথা ভাবছে? কিংবা সূচিতে পরিবর্তণের কথা ভেবেই বার বার অ্যাডজাস্টের কথা বলছে।
সে সম্পর্কে বিসিবি সিইও’র ব্যাখ্যা, ‘সেটা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়। যেহেতু সিরিজ আয়োজক শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট, সেহেতু এডজাস্টমেন্টের পুরো বিষয়টি তাদের উপর নির্ভর করছে, তাদের সাথে আলোচনা করে। তাদের একটা ঘরোয়া লিগ আছে সবমিলিয়েই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
সান নিউজ/পিডিকে