স্পোর্টস ডেস্কঃ
চেন্নাই সুপার কিংসয়ের বিরুদ্ধে জোফ্রা আর্চার যেভাবে শেষ ওভারে পর পর ছক্কা মারতে শুরু করেছিলেন, তাতে ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে যুবরাজের ছয় ছক্কার রেকর্ড ভেঙে যেতে পারত। লুঙ্গি এনগিডিকে টানা চারটি ছয় মারলেন আর্চার। তার মধ্যে আবার দুটো নো বল। একটা ওয়াইড। যার ফলে প্রথম ২ বলে উঠল ২৭ রান। শেষ ওভারে এনগিডি দিলেন ৩০। ওখানেই ম্যাচের ফলাফল স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজস্থান থেমেছিল ২১৬/৭ রানে। আর্চার অপরাজিত থাকলেন ৮ বলে ২৭ রান করে। জবাবে চেন্নাই আটকে গেল ২০০/৬ রানে। রাজস্থানের জয় পেল ১৬ রানে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেই হারতে হল তিনবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইদের। এনগিডির ওভারটাই হারিয়ে দিল চেন্নাইকে।
এবারের আইপিএলের চতুর্থ ম্যাচে কোনও দল পার করল ২০০ রান। সৌজন্যে আর্চার, স্যামসন ও স্মিথ। টস জিতে চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান রয়্যালসকে। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের তারকা যশস্বী জায়সওয়াল রান পাননি। দলের হাল ধরেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও সঞ্জু স্যামসন। দু’জনের জুটিতে উঠল ১২২ রান। স্মিথ করলেন ৪৭ বলে ৬৯। আর স্যামসন খেললেন ৩২ বলে ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। স্যামসন মেরেছেন ৯টি ছয় ও ১টি চার। ডেভিড মিলার রান আউট হয়ে যান। চেন্নাইয়ের সবচেয়ে সফল বোলার স্যাম কারেন। তিনি ৩ উইকেট নিলেন। আর এনগিডি ও পীযূষ চাওলা নিজেদের চার ওভারে দিলেন যথাক্রমে ৫৬ ও ৫৫ রান। জাদেজাও এদিন বল হাতে ব্যর্থ। দিয়েছেন ৪০ রান।
জবাবে শুরুটা কিন্তু বেশ ভাল করেছিল চেন্নাই। ওপেনিং জুটিতে ৫৬ রান করে ফেলেছিলেন শেন ওয়াটসন (৩৩) ও মুরলি বিজয় (২১)। কিন্তু রাজস্থানকে ম্যাচে ফেরালেন তরুণ রাহুল তেওয়াটিয়া। তিন উইকেট তার দখলে। একা চেষ্টা করে গেলেন ফাফ ডু’প্লেসি। যদিও তার ৩৭ বলে ৭২ দলকে জেতানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না। যার মধ্যে ছিল সাতটি ছয়। ধোনি অপরাজিত থাকলেন ১৭ বলে ২৯ রান করে। শেষ ওভারে তিনটে ছয় মারলেও তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। গোটা ম্যাচে উঠল ৪১৬ রান। ম্যাচে দেখা গেল ৩৩টি ছয়। রাজস্থান ইনিংসে ১৭টি। আর চেন্নাই মারল ১৬টি ছয়।
সান নিউজ/ বিএম/বিএস | Sun News