নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন’ ২০৪১, যেখানে ‘স্মার্ট নাগরিক’, ‘স্মার্ট সরকার’ ‘স্মার্ট অর্থনীতি’ ও ‘স্মার্ট সমাজ’- এই ৪ টি মূল ভিত্তির উপর গড়ে উঠবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: তেল কিনবে সরকার
শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী এক বাণীতে এসব কথা বলেন। এই উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব ভোক্তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।
শেখ হাসিনা জানান, ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাঙামাটি জেলার বেতবুনিয়ায় দেশের প্রথম স্যাটেলাইট আর্থ স্টেশন স্থাপন করেন, যার মাধ্যমে দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই রচিত হয় আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি। জাতির পিতার দেখানো পথ ধরেই আ’লীগ সরকার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ে তোলে।
আরও পড়ুন: দেশে শ্রমজীবী শিশু ৩৫ লাখ
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আ’লীগ সরকার ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধে ২০০৯ সালে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন করে। এই আইনটি প্রণয়নের ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য তথা ভোক্তা অধিকারের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার। জনগণ অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত ডিজিটাল প্রযুক্তিনির্ভর প্রচার ও প্রচারণার ফলে তথা ভোক্তা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে।
অনলাইন কেনাকাটা প্রসঙ্গে জানান, কেনাকাটা, ব্যবসা-বাণিজ্য, আর্থিক লেনদেন অনেক কিছুই এখন ডিজিটাল বা অনলাইনে সম্পন্ন হচ্ছে ও প্রতিদিন এই খাতে ভোক্তাদের ঝুঁকির নতুন নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে। অনলাইন কেনাকাটা/আর্থিক লেনদেন স্বচ্ছ হয়, যেন কোনো ধরনের প্রতারণা বা অনিয়ম না হয় ও গ্রাহকরা যেন তাদের ন্যায্য অধিকার পায়, সব ব্যবসায়ী ও ভোক্তা প্রত্যেকেই নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হতে হবে।
আরও পড়ুন: ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, আইনের সঠিক প্রয়োগের পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান, উৎপাদক, বিক্রেতা ও সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে নিষ্ঠার সঙ্গে যথাযথ ভূমিকা রাখবে।
সান নিউজ/এএ