নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান দস্যুদের কবলে যে ২৩ নাবিক জিম্মি আছে তাদের জীবন রক্ষা করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা আমাদের প্রথম কাজ। আমরা সেটাই করার চেষ্টা করছি বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন : ঈদে মিলতে পারে দীর্ঘ ছুটি
বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ২০২৪ উপলক্ষ্যে ফেরি, স্টিমার, লঞ্চসহ জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কর্মপন্থা গ্রহণের লক্ষ্যে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত সাগরে জাহাজটি আছে। সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের নাবিকরা নিরাপদে আছে। এখন পর্যন্ত এটুকুই খবর। পরবর্তীতে কোনো ভালো খবর পেলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই জানাবো।
আরও পড়ুন : আগামীকাল দেশে ফিরছেন রাষ্ট্রপতি
তিনি বলেন, নাবিকদের কত সময়ের মধ্যে ফেরত আনা যাবে, সেটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। কারণ যারা জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ করছেন, তারা তো মানুষ না। মানুষের সঙ্গে কথা বললে আমরা সময় নির্ধারণ করতে পারব। কিন্তু এটা জলদস্যুদের বিষয়। দস্যু আর মানুষ এক জিনিস না।
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ'র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২৩ নাবিককে মঙ্গলবার জিম্মি করে জলদস্যুরা। কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি নৌপথে পণ্য পরিবহন করে। আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সেটি জলদস্যুর কবলে পড়ে।
আরও পড়ুন : সগিরা মোর্শেদ হত্যায় ২ জনের যাবজ্জীবন
খালিদ মাহমুদ বলেন, গতকাল যখন বিষয়টি সম্পর্কে আমরা অবহিত হই, তাৎক্ষণিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছি। নৌবিভাগের সঙ্গে যে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কাজ করে, তাদেরও জানানো হয়েছে। নৌবাহিনীর সঙ্গেও কথা হয়েছে। নৌবাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য দেশের যোগসূত্র আছে। বিষয়টি সবাইকে অবহিত করেছি, সবার সহযোগিতা কামনা করেছি জাহাজটি উদ্ধারের জন্য।
তিনি বলেন ‘অপহরণ হওয়া ২৩ নাবিককে নিরাপদে রাখা এবং তাদের জীবন রক্ষা করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসার প্রতি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এটিই আমাদের প্রথম কাজ। সেভাবে কাজ করছি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।’
আরও পড়ুন : গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশ
সর্বশেষ জাহাজটি কোথায় আছে, তা কি জানা গেছে— এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেসব জলদস্যু জাহাজটি ও নাবিকদের আটকে রেখেছে, জাহাজটি তাদেরই নিয়ন্ত্রণে ভারত সাগরে আছে। নৌবিভাগের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। যে কোনো ধরনের ভালো সংবাদ এলে তা আমরা সঙ্গে সঙ্গে দিতে পারব।
নাবিকরা নিরাপদে ও সুস্থ আছে, এটিই এখন আমাদের কাছে আসা সর্বশেষ খবর বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি— বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খাতে যারা কাজ করেন, তাদের সবাই সম্মিলিতভাবে এই নাবিক ও জাহাজটিকে উদ্ধার করতে সামর্থ্য হবেন। এ নিয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা অবশ্যই সহযোগিতা করবেন। কারণ, ভারত সাগরে তারা টহল এবং নিরাপত্তার কাজে থাকে। তাদের সহযোগিতা চাওয়া হচ্ছে। তবে কীভাবে সহযোগিতা করবে, সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক শাখাগুলো দেখবে। তারাই এটি বাস্তবায়ন করবে।
সান নিউজ/এমআর