নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) তুরস্কের আঙ্কারায় নবনির্মিত বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় ৫০ বছর আগে ১৯৭৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের শুরু হয়। তবে আমাদের সম্পর্কের শুরু ত্রয়োদশ শতাব্দীতে তুর্কি জেনারেল ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজির বাংলা জয়ের মধ্যে দিয়ে। পারস্পরিক আস্থার ইতিহাস, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে দুই দেশের সম্পর্কের শেকড় অনেক গভীরে।’
তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের জনগণের সুবিধার জন্য বাংলাদেশ তুরস্কের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে আগ্রহী। তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ বিশেষ গুরুত্ব দেয়।’
তিনি বলেন, আমি আশা করি শিগগিরই তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আসবেন। একই সঙ্গে তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রীও আসবেন। এছাড়াও আমি বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানাই বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে। আমি বিশেষভাবে আশাবাদী তিনি আমাদের বাংলাদেশ সফর করবেন। একই সঙ্গে আমি আরও আশাবাদী, তার সঙ্গে ফার্স্ট লেডিও (এমিনা এরদোগান) আসবেন।
এসময় রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকার জন্য তুর্কি জনগণ ও দেশটির সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট ও তুর্কি ফাস্ট লেডিকেও তিনি ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সব ধরনের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ। আমি মনে করি, প্রায় তিন বছর হতে চলেছে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত।
তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ২০১২ সালে রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের আমন্ত্রণে তার তুরস্কের আঙ্কারা সফরের কথাও বর্ণনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ভবন উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসগলু।
সান নিউজ/আরএইচ/বিএস