নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিটি করপোরেশনের মেয়র-কাউন্সিলরদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ছয় মাসের পরিবর্তে তিনমাস আগেই নির্বাচন করতে হবে। একই সঙ্গে মেয়র-কাউন্সিলরদের ছুটি তিনমাস থেকে কমে একমাস করা হচ্ছে। এমন বিধান রেখে ‘স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) আইন, ২০২০’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বৈঠকে যুক্ত হন।
বৈঠকে শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আইনটি অনুমোদনের তথ্য জানান।
সর্বশেষ ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত দুই মেয়রকে শপথ নেওয়ার পরও দায়িত্ব পেতে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কারণ, তখনও আগের মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হয়নি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘দেখা গেছে, বাস্তবে (সিটি করপোরেশন আইন অনুসারে) কাজ করতে গেলে কিছু অসুবিধা হয়। এখন নিয়ম রয়েছে, (মেয়াতোত্তীর্ণের আগে) ছয়মাসের (১৮০ দিন) মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। অন্যদিকে রয়েছে যেদিন তারা (মেয়র ও কাউন্সিলর) মিটিং করবে সেই থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সময় থাকবে। দেখা গেছে, চার-পাঁচ মাস আগে যদি নির্বাচন হয়ে যায়, শপথ হলেও তারা দায়িত্ব নিতে পারছেন না এই কন্ট্রাডিকশনের জন্য। (মেয়াদ পূর্ণ না হাওয়ায়) অনেক দিন তাদের অপেক্ষা করতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন এ ব্যবস্থায় মেয়র ও কাউন্সিলরদের মেয়াদ থাকার পরও তাদের পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখন আর ১৮০ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। এতে ১৫ বা ১০ দিনের একটা ভেরিয়েশন (মেয়াদের চেয়ে কম) হয়। আগে তো তিন থেকে সাড়ে তিন মাস বসে থাকতে হতো।
‘নতুন আইনে বলে দেওয়াই হচ্ছে- মেয়াদ সম্পর্কে আইনে যা-ই থাকুক, নতুন পরিষদ যেদিন থেকে শপথ নেবে, তার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রথম মিটিং করবে এবং সেদিন থেকেই আগের পরিষদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সিটি করপোরেশনগুলোতে যারা (মেয়র ও কাউন্সিলর) ছিলেন বছরে তাদের তিনমাস ছুটি ছিল। আজকে মন্ত্রিসভা বলেছে, তারা জনপ্রতিনিধি কিন্তু তাদের এক্সিকিউটিভ ফাংশন আছে ডে টু ডে (নির্বাহী হিসেবে দৈনন্দিন কার্যক্রম)। সুতরাং বছরে ছুটি একমাস করে দেওয়া হলো।’
সান নিউজ/ এআর