নিজস্ব প্রতিবেদক: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে মাদকের সংশ্লিষ্টতা থাকলে শুধু মামলা দেয়া হয়। পুলিশ সদস্যদের শুধু মাদক খাওয়ার প্রমাণ থাকলেই চাকরি থাকবে না। চাকরিও যাবে, মামলাও হবে।
আরও পড়ুন: ডিআইজি মিজানের কারাদণ্ড বহাল
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪’র দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্যারেড গ্র্যাউন্ডে ‘আইজিপি’স এক্সেমপ্ল্যারি গুড সার্ভিসেস ব্যাজ (আইজি’জ ব্যাজ) ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী ইউনিটদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, মাদক ও দুর্নীতি সমাজের নীরব ঘাতক। মাদকবিরোধী অভিযানে বাংলাদেশ পুলিশ জয়ী হবে। জঙ্গী-সন্ত্রাস যেভাবে নিয়ন্ত্রণে এনেছে, যেভাবে মাদক নিয়ন্ত্রণেও সফল হতে হবে।
পুলিশের কোনো সদস্য যদি মাদকের সাথে জড়িত থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের চেয়েও বেশি ব্যবস্থা নেয়া হয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে মাদকের সংশ্লিষ্টতা থাকলে শুধু মামলা দেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ সদস্যদের শুধু মাদক খাওয়ার প্রমাণ থাকলেই চাকরি থাকবে না। চাকরিও যাবে, মামলাও হবে।
আরও পড়ুন: সৌদি সফরে জেলেনস্কি
পুলিশপ্রধান বলেন, নিয়োগের সময় আমরা প্রতিটি সদস্যকে ডোপ টেস্টের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে থাকি। যারা মাদকাসক্ত তাদের সতর্ক করে দিচ্ছি, মাদকাসক্ত হলে কেউ চাকরি পাবে না। সবাইকে এ বিষয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের 'সোনার বাংলা' তথা প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে মাদক, জঙ্গি ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই।
তিনি আরও জানান, জঙ্গি-মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি রয়েছে। যেকোনো ঘটনা ঘটলে দ্রুততম সময়ে আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি।
স্মার্ট বাংলাদেশের উপযুক্ত পুলিশ গড়ে তুলতে কাজ করার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশকে জনবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা কাজ করছি। থানাকে প্রতিটি মানুষের আস্থার কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। যাতে সবাই নির্ভয়ে থানায় আসতে পারেন সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ও প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বিস্ফোরণে নিহত ১
তিনি আরও বলেন, বেশিরভাগ থানাতেই সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যা রেঞ্জ ডিআইজি অফিস থেকে মনিটরিং করা হচ্ছে। পুলিশের প্রত্যেকটি সদস্য সেবা দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের জীবন দিয়ে পুলিশ সদস্যরা সেটি প্রমাণ করেছে।
পুলিশের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে স্বচ্ছতা সর্বক্ষেত্রে প্রশংসিত হচ্ছে জানিয়ে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার অধিকাংশ কাজ স্মার্ট পদ্ধতিতে সম্পন্ন করছি। ঘরে বসে আবেদন করতে পারছে, কোথায় পরীক্ষা সেটা জানতে পারছে, ফলও ঘরে বসে পেয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে কোনো দালাল বা ফরিয়া নেই। ইতোমধ্যে দেশবাসী এর সুফল ভোগ করছে।
এ সময় পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের প্রযুক্তিনির্ভর, গণমুখী, সেবামুখী, জনবান্ধব তথা নারী ও শিশুবান্ধব বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।
সান নিউজ/এনজে