নিজস্ব প্রতিবেদক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেই চিঠির প্রতিউত্তরে ওয়াশিংটনে চিঠি পাঠাচ্ছেন সরকারপ্রধান। চিঠির একটি কপি মার্কিন প্রতিনিধির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে বিশেষ তহবিলের আহ্বান
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা সফররত মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলিন লুবাখারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে বৈঠক করে। বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, কীভাবে ২ দেশের সম্পর্ক আরও গভীরতর করতে পারি ও সম্পর্কের নতুন যুগ কীভাবে শক্তিশালী করতে পারি, সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি। তারাও আমাদের সাথে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। সম্পর্ক উন্নয়ন করার লক্ষ্যে কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন।
আরও পড়ুন: সংরক্ষিত ৫০ আসনের গেজেট মঙ্গলবার
সেই চিঠিতে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নতুন অধ্যায়ে সম্পর্ক করার বিষয়ে তাদের আগ্রহ ব্যক্ত করেছিলেন। আজ আমি তাদের হাতে প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন, সেটির কপি হস্তান্তর করেছি। মূল কপিটি আমাদের রাষ্ট্রদূত হোয়াইট হাউসে হস্তান্তর করবেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একসাথে কাজ করার আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: আমাদের লক্ষ্য দেশের সার্বিক উন্নয়ন
চিঠিতে বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরুর পর্বে আমি বলতে চাই, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ আরও কিছু ইস্যুতে একসাথে কাজ করার আগ্রহের কথা তুলে ধরছি।
সমস্যা সমাধানে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে আমাদের দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে। আমাদের এ সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে ২ দেশের জনগণের শক্তিশালী সম্পর্ক।
চিঠিতে বাইডেন আরও লেখেন, বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অভিন্ন স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশের সাথে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সান নিউজ/এনজে