নিজস্ব প্রতিবেদক: শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা আছে। বাজার যাতে স্থিতিশীল থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখার পাশাপাশি রোজায় যেন জনগণের দুর্ভোগ না হয় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: মিথ্যা খবর বন্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশনে এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, সামনে রমজান মাস। স্বাভাবিকভাবেই সারাবিশ্বের মুসলমানরা এ পবিত্র মাস পালন করবেন। আমাদের বাজারে কিছুটা অস্থিতিশীলতা আছে। সেটি বিভিন্ন কারণে, বৈশ্বিক কারণে। আমরা চিনি আমদানি করি। আমাদের ১৭টি চিনির কল আছে, সেখানে যে কাঁচামাল আঁখ, সেটি উৎপাদন করতে বছর লাগে।
তিনি বলেন, কৃষকরা নিজেদের স্বার্থ অবশ্যই দেখবে। এছাড়া দীর্ঘকালীন ফসলটি উৎপাদন করতে চাচ্ছে না অনেকে। চিনিকলগুলোতে অনেক জায়গা আছে। আমরা যদি বহুমুখী পদক্ষেপ না নিই, তাহলে চিনি কলগুলো বোঝা হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: আমাদের লক্ষ্য দেশের সার্বিক উন্নয়ন
সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা আধুনিকীকরণ, অন্যান্য ফসল যেমন ফ্রুটস প্রসেসিংসহ অনেক পরিকল্পনা নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের কিছু চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীসহ দেশীয় যারা উদ্যোক্তা, তারাও সেখানে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, বেসরকারিভাবে যারা উৎপাদন করেন তারা বিদেশ থেকে কাঁচামাল এনে করেন। তাদের সাথে আমরা বাজারে টিকি না। কারণ আমাদের মূল্য বেশি পড়ে যায়। সেজন্য আমরা এখন নতুন পন্থায় মিলগুলোকে বাস্তবসম্মত করতে যাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, এখন আর চিনির অভাব হবে না।
আরও পড়ুন: পিলখানার বিচার দ্রুত শেষ হবে
তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী ও পুলিশসহ বিশেষ করে সরকারি যে বাহিনীগুলো আছে, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে আমাদের সুগার কর্পোরেশন থেকে চিনি সরবরাহ করে থাকি। বাইরের বাজারের জন্য আমাদের কিছুটা শর্ট পড়ে। সেখানে প্রাইভেট যারা আছে, টিসিবিসহ তারা আমদানি করে থাকে।
তবে বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল আছে। বিশ্ববাজারের পরিস্থিতিতে যেটুকু দাম বাড়ার সেটুকু বেড়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় দামে যদিও সাবসিটি দিতে হয়, তবুও ৪৫ টাকাই রেখেছি।
সান নিউজ/এনজে