নিজস্ব প্রতিবেদক:
অবৈধভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রমনা থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলাটি (নম্বর- ১৪) দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজ ক্রাইম বিভাগের ফিনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান।
সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিসানুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত সম্রাট কাকরাইলের বাসায় অবস্থান করে বিভিন্ন অবৈধ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ ও আয়ের উৎস গোপন করতে তার সহযোগী আসামি মো. এনামুল হক আমানের (৫৬) সহায়তায় বিদেশে পাচার করেন। সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে সিআইডির অনুসন্ধানে তথ্য-প্রমাণ মিলেছে। এই প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, পল্টন ও কাকরাইল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন। তার উপার্জিত অবৈধ অর্থের মধ্যে ১৯৫ কোটি টাকা তিনি তার সহযোগী আসামি আরমানের সহায়তায় সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া পাচার করেছেন।
সম্রাটের বিদেশ ভ্রমণের পর্যালোচনামূলক তথ্যও মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে সিআইডি। পর্যালোচনামূলক তথ্যে উল্লেখ রয়েছে, ২০১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় তিনবার, দুবাইতে দুবার এবং হংকংয়ে একবার যাতায়াত করেছেন তিনি। আর তার অপরাধ কর্মের সহযোগী আরমান ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ১৮ মে পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের পঁচিশবার যাতায়াত করেছেন।
এর আগে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অর্থ উপার্জনের অভিযোগে দুদকের করা একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
গত বছরের ১২ নভেম্বর দুদকের করা মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আনা হয়। ওই মামলায় আদালতে দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৮ আগস্ট অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।