নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৬৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়েছে।
ইউএনও ওয়াহিদা খানম আগে থেকেই একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ওমর আলী শেখকে আনা হয় বলে জানিয়েছেন নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম।
রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতাল থেকে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ওমর আলী শেখকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কপথে রাজধানীর পথে রওনা হয়।
সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওমর আলী শেখের কোমর থেকে নিচের অংশ পুরোটাই অবশ। কথা বলতে ও খেতে পারলেও তিনি চলাচল করতে পারছেন না।
তার আগে থেকে ডায়াবেটিস ছিল। ঘটনার রাতে তিনি ঘাড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এতে স্পাইনাল কর্ডে ইনজুরি হয়। সাধারণত এ ধরনের জটিলতায় হাত-পা অবশ হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তার দুই হাত কিছুটা সচল থাকলেও নাভির নিচ থেকে পুরো নিচের অংশ অবশ হয়ে পড়েছে। এ ধরনের সমস্যা থেকে সেরে উঠতে দুই থেকে তিনমাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
গত ০২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটায় সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে ইউএনও ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওয়াহিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়। রাতে তার মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি।
এ ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। পাঁচজন মূল আসামিকে গ্রেপ্তার ও বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
সান নিউজ/ এআর