সান নিউজ ডেস্ক:
এক মাসেরও বেশি সময় হয়ে গেলেও ‘করোনাভাইরাস’ আতঙ্ক থেকে এখনও পর্যন্ত বেরিয়ে আসতে পারেনি বিশ্ব। বরং মৃত্যূর সংখ্যা বাড়তে থাকার পাশাপাশি নতুন করে তা ছড়িয়ে পড়ছে এক দেশ থেকে আরেক দেশে। বিরূপ প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। উদ্বেগের বাইরে নয় বাংলাদেশও।
বাংলাদেশের যেসব প্রকল্পে চীনের নাগরিকরা বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন, সেসব প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে এরই মধ্যে উঠেছে প্রশ্ন। এখানে কর্মরত চীনের নাগরিকরা স্বাভাবিকভাবেই বিভিন্ন কারণে ছুটিতে যান নিজ দেশে। দেশটির নববর্ষ উলেক্ষে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করা কয়েক হাজার চীনা নাগরিক এই মুহুর্তে তাদের নিজ দেশে অবস্থান করছেন। কিন্তু করোনা আক্রান্ত দেশটিতে এই মুহুর্তে তারা কী অবস্থায় রয়েছেন তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। এরইমেধ্যে যেসব চীনা নাগরিক বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন তাদের সবাইকে রাখা হয়েছে বিশেষ সতর্কতামূলক অবস্থায় বা কোয়ারেন্টাইনে। তবে বাকিদের ফিরে আসতে বেশি দেরি হলে প্রকল্পগুলোর কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করা যাবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও জানিয়েছেন, “করোনাভাইরাস আগামী দুই মাসের মধ্যে স্থিতিশীল হলে পদ্মা সেতুর কাজে কোনো সমস্যা হবে না, তবে আরও ৩-৪ মাস স্থায়ী হলে সমস্যা হবে”।
বুধবার (৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সব প্রকল্প ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
এদিকে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬৩ জনে। বৃহস্পতিবার একদিনেই মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের। নতুন করে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে আরও ২ হাজার ৯৮৭ জনের মধ্যে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এ পর্যন্ত ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। করোনার উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশ অন্যান্য শহর থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন রয়েছে দুই সপ্তাহ ধরে।
চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য পরিস্থিতি (হেলথ ইমার্জেন্সি) ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এই পরিস্থিতিতে চীন ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে অনেক দেশ। হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে তারা।