নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় শিগগিরেই রদবদল আসতে পারে বলে জানা গেছে। করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই এ কার্যক্রম শুরু হবে।
রদবদলেল বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরকার ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা ও গুঞ্জন চলে আসছে। মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের মৃত্যুর পর সেই আলোচনায় আরও জোর পায়। তবে করোনায় অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কারণে বিষয়টি এতদিন আগায়নি।
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর পর থেকে মন্ত্রণালয়টি ফাঁকা রয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ে এখনও পর্যন্ত কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে শিগগিরই এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কাউকে দেয়া হবে। গত ১৩ জুন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ করোনা সংক্রমণ এবং হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।
গত জুনে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন চলাকালে সংসদ সদস্যরা পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নানা অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরেছেন। সংসদ সদস্যদের কেউ কেউ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে জাহিদ মালেক স্বপনকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাবও করেন।
সংসদের সদ্যসমাপ্ত নবম অধিবেশনেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে। বিভিন্ন দিক থেকে এই সমালোচনার প্রেক্ষাপটে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আসতে পারে বলেও একটা গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া আরও দুয়েকটি মন্ত্রণালয়েও পরিবর্তন আসতে পারে।
গুঞ্জন রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়েও পরিবর্তনের। বর্তমানে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। তাকে এই মন্ত্রণালয় খেকে সরিয়ে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
এছাড়া মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে, তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান ও ময়মনসিংহ-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানী।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হিসেবে রুহুল আমিন মাদানীর নাম সবচেয়ে বেশি আলোচিত। তবে ফারুক খান, নানক বা আব্দুর রহমানকেও এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। এছাড়া দুই একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী বা উপমন্ত্রীর পদোন্নতি হওয়ারও গুঞ্জন রয়েছে।
সরকার ও আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানায়, এসব বিষয় একান্তই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে। তিনি নির্দেশ দিলেই প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সান নিউজ/বিএস