নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শরীরের ডানপাশের কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিনি ডান হাতের আঙুল নাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) মুখের সেলাই খোলা হয়েছে এবং আগামী শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মাথার সেলাই খোলার পর মেডিকেল বোর্ড মিটিংয়ে বসে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
গত সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ওয়াহিদাকে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তবে আপাতত তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের নিউরোট্রমা বিভাগের প্রধান ও ওয়াহিদার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন এবং মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম।
গত ০২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটায় সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে ইউএনও ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওয়াহিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়। রাতে তার মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে আইসিইউতে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে থাকার পর সোমবার দুপুরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো এবং স্থিতিশীল। তার বাবা ওমর আলী শেখ এখনো রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। তিনজন মূল আসামিকে গ্রেপ্তার ও কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
সান নিউজ/আরএইচ/ এআর | Sun News