নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণকারী প্রার্থী বা দল দ্বারা ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো বা হুমকি চোখে পড়েনি। তারা তা গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের জন্য ভালো ইঙ্গিত বলে মন্তব্য করছেন।
আরও পড়ুন: এই বিজয় জনগণের
সোমবার (৮ জানুয়ারি) সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের প্রতিক্রিয়া জানাতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে ৭ দেশের পর্যবেক্ষক উল্লিখিত মন্তব্য করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ৭ টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাবেক কংগ্রেসম্যান এবং সাংবাদিকদের একটি প্রতিনিধিদল সংবাদ সম্মেলনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে
সংবাদ সম্মেলনে হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও চিফ অব স্টাফের সাবেক উপ- সহকারী ও আমেরিকান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিসের সিইও আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে জানান, আমরা ৭ জানুয়ারি ৩ টি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় মোট ২০টি ভোট কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছি। গতকাল পর্যন্ত দেখেছি, বিশ্বের অনেক দেশ রয়েছে, যারা ভোট না দেওয়ার জন্য জরিমানা আরোপ করে ও ভোটকে উৎসাহিত করার জন্য অতিরিক্ত নাগরিকত্ব সুবিধা দেয়। তবে, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ আছে, যা কিনা আমরা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করি।
আলেকজান্ডার বার্টন গ্রে আরও বলেছেন, সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। বাংলাদেশের ভোট প্রক্রিয়াও বিশ্বের অনেক দেশের মতোই। একটি বড় রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করা নির্বাচনের উৎসবমুখর পরিবেশে কিছুটা প্রভাব ফেলেছে। রাজনৈতিক সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে পরিবেশ আরও সুন্দর ও আনন্দময় হতো। যেসব কেন্দ্র আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি, সেখানে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, ভোট দেওয়ার পথে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। আমরা কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনার কথাও শুনেছি। সরকারি প্রার্থী, স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের মতো, যা অপ্রত্যাশিত ছিল।
আরও পড়ুন: জয় পাননি ২৫ দলের প্রার্থী
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন—সাবেক মার্কিন কংগ্রেসম্যান জিম বেটস, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য শাওকেট মুসেলমানে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ওএসসিইর সার্টিফাইড নির্বাচন পর্যবেক্ষক টেরি এল ইজলি, ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার জন ব্ল্যাকবার্ন। এছাড়াও আয়ারল্যান্ড, জার্মানি, নরওয়ে ও জাপানের প্রতিনিধিরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এএ