নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের মাথার সেলাই আগামী শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) কাটা হতে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। তারা এটাও বলেছেন, সেলাই না কাটা পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের এইচডিইউতে (হাই ডিফেন্ডেন্সি ইউনিট) থাকবেন।
বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালের যুগ্ম পরিচালক অধ্যাপক ডা. বদরুল আলম জানান, ওয়াহিদার শারীরিক অবস্থা ভালো। তার শরীরের ডানপাশটা যে অবশ অবস্থায় ছিল, সেটা একই রকম রয়েছে। এছাড়া তার সবকিছু প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে। পুরোপুরি জ্ঞান ফিরেছে। পরিবারের সদস্য এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলছেন।
ইউএনও ওয়াহিদাকে স্বাভাবিক খাবার দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ডা. বদরুল।
হাসপাতালের নিউরোট্রমা বিভাগের প্রধান ও ওয়াহিদার মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ডা. মোহাম্মদ জাহেদ হোসেন জানান, ওয়াহিদার শরীরের ডানপাশে শক্তি নেই, কিন্তু বোধ আছে। তবে তিনি হাত নাড়াতে পারেন না। অবস্থার উন্নতিতে ফিজিওথেরাপি চলছে।
গত ০২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটায় সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে ইউএনও ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওয়াহিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়। রাতে তার মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে আইসিইউতে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে থাকার পর সোমবার দুপুরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো এবং স্থিতিশীল। তার বাবা ওমর আলী শেখ এখনো রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। তিনজন মূল আসামিকে গ্রেপ্তার ও কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।