নিজস্ব প্রতিবেদক: টাকা লুটপাট করা নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসির (সিপিডি) প্রতিবেদন ভুলে ভরা বলে মন্তব্য করেছেন আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে কোনো সহিংসতা চাই না
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিপিডি বলছে, ২০০৮-২০২৩ এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাংক খাত থেকে ছোট–বড় ২৪টি অনিয়মের মাধ্যমে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, সিপিডির প্রতিবেদন আমি পড়েছি বিভিন্ন বড় গ্রুপগুলো যে ঋণ নিয়েছে, সেগুলো সন্নিবেশিত করে তারা বলতে চেষ্টা করেছে এসব অর্থ লোপাট হয়েছে।
মন্ত্রী আরও জানান, এখানে কিছু ব্যাড লোন আছে, কিছু অনিয়ম হয়নি সেটাও সঠিক না। কিছুটা অনিয়ম হয়েছে। তবে সবগুলোকে একত্র করে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। সবাই এগুলো জানে, পত্রপত্রিকায় বহু খবরাখবর প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার কিছু নেই এখানে। সে প্রতিবেদনগুলো একত্র করে নির্বাচনের আগে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনেও অনেক ভুল আছে।
আরও পড়ুন: বিদেশিরাও সন্ত্রাসীদের পছন্দ করে না
তিনি বলেন, তারা যেমন বলেছেন যে, আমাদের উন্নয়ন বাজেটের ৭৫% আসে বৈদেশিক সাহায্য থেকে। পুরোপুরি এটা ভুল ও বোগাস।
মন্ত্রী জানায়, যখন গবেষণায় এতো বড় ভুল থাকে, কোনো ছোটো ভুল না, অসত্য থাকে, তাহলে সেই প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। প্রতিবেদন প্রকাশ করে যারা তাদের নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
১৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে একটি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনবিরোধী সভা-সমাবেশ করা যাবে না বলে বলা হয়েছে। তবে সরকারে পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কোনো দুর্বলতা প্রকাশিত হয়েছে কি না,জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, যখনই নির্বাচন কমিশন এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেবে, সেটা অবশ্যই পালন করা হবে। আমি মনে করি, এটা সুষ্ঠু, অবাধ ও জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণের জন্য সহায়ক হবে।
সান নিউজ/এএ