নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির সাথে রেলকে সম্পৃক্ত করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ফেলে জনজীবন হুমকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে, এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এগুলো ফৌজদারি অপরাধ। আমাদের দিক থেকে আমরা নিরাপদ রেল যাত্রার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছে
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রেলভবনের সভাকক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেলে নাশকতা বিষয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
রেলমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে রেল চলাচলে হুমকি তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকের সহযোগিতা চাই। নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। বিএনপি ও সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এ সময়টাতে রেল সম্পর্কিত সহিংসতা বাড়ছে।
আরও পড়ুন: তেজগাঁওয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাম্প্রতিক সময়ে দুর্ঘটনা হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, যাত্রী হয়ে ঢুকে নাশকতা করলে রেলকে নিরাপদ করা সম্ভব না। বিএনপি-জামায়াত এর আগে ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন বাসের বদলে ট্রেনকেই প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে দিচ্ছে।
আজ সকালে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে মন্ত্রীবলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাবে না।
আরও পড়ুন: মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন, নিহত ৪
রেলে দুর্ঘটনা কমাতে পদক্ষেপের বিষয়ে তিনি বলেন, রেলের নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সাথে কথা বলেছি। রেলপথের ব্যাপারে সহযোগিতার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক হয়েছে, যাতে সন্ত্রাসীরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে রেল চলাচলে বিঘ্ন ঘটাতে না পারে।
রেলপথে বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, রেলপথে সরাসরি আক্রমণের ঘটনা প্রথম ঘটে গত ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের ২টি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের বিজয় র্যালি আজ
এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে যমুনা এক্সপ্রেসে নাশকতা করা হয়েছে। এসব ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পরের ৩ দুর্ঘটনা সম্পর্কে রেলপথমন্ত্রী বলেন, গত ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন ধরানো হয়। এরপর ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে বিশফুট রেলওয়ে ট্র্যাক কেটে ফেলা হয়।
এতে একজন যাত্রী মারা যায় এবং ৫০ জন আহত হয়। আরও অনেক বেশি হতাহত হতে পারতো। ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেন আস্তে চলছিল বলে রক্ষা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: আতশবাজি-ফানুস-মশাল মিছিল নিষিদ্ধ
তিনি বলেন, আজ বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন তেজগাঁও আসার সময় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ট্রেনের ৩ টি কোচ পুড়ে যায়। এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছে।
এছাড়া কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে, যাতে ট্রেন চলাচল করতে না পারে।
তারা ভাবছে, এ ধরনের নাশকতা করে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে তো এটা হতো না।
সান নিউজ/এনজে