নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আরও পড়ুন: দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের হল অব প্রাইডে বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সংক্রান্ত সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। র্যাব মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
খ্রিস্টান ধর্মের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন এবং থার্টিফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি। এই সময় তিনি খ্রিস্টান কমিউনিটির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্যও মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: আরও ৪ জনের মৃত্যু, ভর্তি ২৫৪
চার্চে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি স্থাপনের জন্য খ্রিষ্টান ধর্মীয় নেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, কেউ নাশকতার চেষ্টা করলে আপনারা তাকে ধরে ফেলবেন। আর ধরতে না পারলে চিনে রাখবেন, পুলিশ তাদের আটক করবে। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগের জন্যও অনুরোধ জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ক্রিকেট দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
পুলিশ প্রধান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট, মন্তব্য বা ছবি আপলোড করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে সাইবার মনিটরিং ও পেট্রোলিং বৃদ্ধি ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
তিনি কক্সবাজারসহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশেষ নির্দেশনা দেন। থার্টিফার্স্ট নাইট এবং ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষ্যে পটকা, আতশবাজিসহ ফানুস ওড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
আরও পড়ুন: দেশে আরব বসন্তের সম্ভাবনা নেই
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অতীতের ন্যায় এবারও বড়দিন আনন্দ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হবে।
সান নিউজ/এসকে