নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, মার্কিনিরা যেন আমাদের মানবাধিকার না শেখায়। বরং তাদের মানবাধিকার বাংলাদেশ শেখাবে। আমাদের মানবাধিকার যারা শেখাতে চায়, তাদের মাস্টার আমরা।
আরও পড়ুন: সপরিবারে হত্যার পর দেশে মানবাধিকার বলে কিছু নাই
রোববার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১২টায় রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান।
রাষ্ট্রপতি জানান, ডিসেম্বর আমাদের বিজয়ের মাস। বহু আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা এই মাসের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পেয়েছিলাম। এজন্য এই মাসটি আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান। এই মাসে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের দ্বারা সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল।
আরও পড়ুন: প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, দরিদ্র হ্রাস, শিক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ বিস্তার, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস ও নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক নানান সূচকে তাৎপর্যপূর্ণ সফলতা অর্জন করেছে। ১৯৭৫ সালে যেখানে বঙ্গবন্ধু হাসিনার মানবতা লঙ্ঘিত ও লুণ্ঠিত হয়েছিল। মানবাধিকারের প্রতি দৃঢ় আস্থা ও অঙ্গীকার থেকে ২০০৯ সালে মানবাধিকার কমিশন প্রতিষ্ঠা তিনিই করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছেন, ‘আমি ভুক্তভোগী, তবে বাংলাদেশের মানুষ যেন ভুক্তভোগী না হয়।’ মহান ব্যক্তিকে আমি শুভেচ্ছা জানাই।
তিনি আরও জানান, আমি বিশ্বাস করি, যুদ্ধ নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সকল সমস্যার সমাধান হবে। সব ধরনের সংঘাতের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিতকরণ ও নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন: সড়ক দূঘর্টনায় নিহত ২
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রশ্ন হলো যারা মানবাধিকারের ফেরিওয়ালা, মানবাধিকার শিখিয়ে বেরায় তারা কী করল? গাজায় প্রতিদিন ৫০০’র অধিক ছোটো ছোটো শিশু ও নির্বোধ মানুষকে অকাতরে হত্যা করছে। হত্যা করা জেনেভা কনভেনশন দ্বারা নিষিদ্ধ। দুজন ফিলিস্তিনি তাদের
আত্মসমর্পণ করার পরও বর্বরোচিতভাবে গুলি করে হত্যা করা হলো। তারই প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘে যখন যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব এলো, তখন মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা সেখানে ভেটো দিলো।
সান নিউজ/এএ