নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে, তারা ১৫ ও ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং জোট সরকারের নিপীড়নের কথা বলেন না। বিএনপির নির্বাচনকেন্দ্রিক আন্দোলন ব্যর্থ। এখন তারা আগুন দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতি করার আফসোসটা থেকে গেল
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপের যৌক্তিক কারণ দেখছি না। যারা নির্বাচনের বিরুদ্ধে নাশকতা করছে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
বিশ্বের সব দেশের রাজনৈতিক অভিযোগের বিষয় জাতিসংঘের কাছেই যায়। কিছু চাপের ব্যাপার নিশ্চয়ই আছে, তা না হলে এতো কিছু কেন হলো? গত কয়েক মাসে দেশে কত রকমের ঘটনা ঘটেছে। নিষেধাজ্ঞা আসলো, এমন কথা চলছিল।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘে পাঠানো চিঠি ‘থ্যাংক ইউ নোট’
এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘকে জানিয়ে রাখল। আমরা ভালো নির্বাচন করছি, কোনো অসুবিধা নেই। অহেতুক কেউ যেন আমাদেরকে চাপ না দেয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ২০০৯ সালে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশে মানবাধিকার কমিশন বর্তমানে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে।
আওয়ামী লীগ মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জন্মলগ্ন থেকেই হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও মাওলানা ভাসানী থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু এবং আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই অব্যাহত রেখেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসেই শৈত্যপ্রবাহ
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সব ধরনের সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ নিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র এবার মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ১৩ দেশের ৩৭ ব্যক্তির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়।
যে অপশক্তি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করে, যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য অনুযায়ী এসব অপশক্তির বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা দেয়। বাংলাদেশের নির্বাচন গণতান্ত্রিক শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো। এ পথকে মসৃণ করার লক্ষ্যে আমরা বিরামহীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আরও পড়ুন: রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন’র জন্মদিন
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বারবার এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন- আমাদের নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। তাই নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিক কোনো কারণ দেখছি না। বরং নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করবার জন্য সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে, জ্বালাও-পোড়াও, গুপ্ত হামলা করছে, এদের ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
এদেশের মানবাধিকারের ইতিহাস বড়ই ট্র্যাজিক। ১৫ই আগস্ট এ সপরিবারে অবলা নারী, অবুঝ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীকে বর্বরোচিত যে হত্যাকাণ্ড, এ ব্যাপারে মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলে, তাদের অনেককেই দেখেছি নীরব। তাদের অনেকেই স্বৈরশাসকদের তাঁবেদারি করেছে। এরা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে।
আরও পড়ুন: রোববার মানববন্ধন করবে বিএনপি
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনোয়ার হোসেন, মেরিনা জাহান কবিতা প্রমুখ।
সান নিউজ/এনজে