নিজস্ব প্রতিবেদক:
দিনাজপুর জেলা ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিফেন্ডেন্সি ইউনিট) নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের নিউরোট্রমা বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন।
তিনি জানিয়েছেন, ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে এখন ভালো এবং স্থিতিশীল।
গত ০২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটায় সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে ইউএনও ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওয়াহিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়। রাতে তার মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে আইসিইউতে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে ছিলেন তিনি। তার বাবা ওমর আলী শেখ এখনো রমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ইউএনওর ভাই শেখ ফরিদ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা করেন।
মামলার তিন আসামি গ্রেপ্তার হয়ে আদালতের মাধ্যমে তদন্তকারী সংস্থা দিনাজপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) রিমান্ডে আছেন। প্রধান আসামি উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য আসাদুল ইসলামকে (৩৫) রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) এবং অন্য দুই আসামি রংমিস্ত্রি নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার দাসকে শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) থেকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ।
এ মামলায় আরও তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। তারা হলেন, ইউএনওর ওপর হামলার মামলার প্রধান আসামি আসাদুল ইসলামের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন (৪০), ইউএনওর বাসভবনের মালি সুলতান কবির (৩৭) ও অন্যতম আসামি সান্টু কুমারের আত্মীয় শ্যামল কুমার (৩৩)।