নিজস্ব প্রতিবেদক:
আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছেন হামলায় আহত দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম। তিনি কথা বলতে পারছেন। রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হসপিটালে তাকে দেখতে এলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের সঙ্গেও কথা বলেছেন ওয়াহিদা।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ওয়াহিদা খানমের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় খোঁজ খবর রাখছেন। তার চিকিৎসার প্রয়োজনে যা যা দরকার, সবই দেওয়া হবে।’
‘এখন রোগী যে পর্যায়ে আছেন, তাতে দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে যদি প্রয়োজন হয়, তখন সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইউএনও ওয়াহিদা আমার সঙ্গে কথা বললেন। আমার কাছে মনে হয়েছে, তিনি এখন অনেক ভালো অবস্থায় আছেন। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে আটজন ডাক্তার আড়াই ঘণ্টা ধরে সফলতার সঙ্গে অপারেশন করেছেন। এখন রোগী অনেকাংশে ভালো আছেন। তবে ডানদিকের অংশটা এখনও অবশ আছে। ডাক্তাররা বলেছেন, ফিজিক্যাল থেরাপি দিলে আস্তে আস্তে এটা ভালো হয়ে যাবে। এ ধরনের একজন জটিল রোগীকে সফলতার সঙ্গে নিউরোসায়েন্স চিকিৎসা দেওয়ায় আমরা গর্বিত।’
বুধবার (০২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটায় সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে বাসায় ঢুকে ইউএনও ওয়াহিদা ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ইউএনওর মাথায় গুরুতর আঘাত এবং তার বাবাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে ইউএনও ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ওয়াহিদার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে আনা হয়। রাতে তার মাথায় অস্ত্রোপচারের পর থেকে বর্তমানে আইসিইউতে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে আছেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে ৭২ ঘণ্টা শেষ হবে। এখনও ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা যায়নি। দোয়া করি, ইনফেকশন যেন না হয়। আমি নিজ চোখে দেখে আসছি, রোগী সুন্দর ব্যবস্থাপনায় আছেন এবং সবকিছু ভালোভাবে চলছে।’