নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। শোক প্রস্তাবে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে তার প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।
বেলা ১১টায় স্পিকারের সভাপতিত্বে একাদশ জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশন শুরু হয়। দেশে করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর তৃতীয় দফায় বসলো সংসদ অধিবেশন।
শোক প্রস্তাবে বলা হয়, ‘১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের পক্ষে অসামান্য অবদান রাখেন প্রণব মুখার্জি। এজন্য তাকে মুক্তিযুদ্ধ সম্মাননাও দেওয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকারের স্বীকৃতি আদায়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।’
‘বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্ব জনমত সংগঠিত ও সমর্থন আদায়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাকে বিভিন্ন দেশে সফরে পাঠান। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ভারতে অবস্থানকালে তিনি তাদের সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের সঙ্গে তার ছিল ঘনিষ্ট সম্পর্ক। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তার এ অবদানের মধ্য দিয়ে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে আপনজন হয়ে রয়েছেন তিনি।’
সংসদ তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও দুঃখ প্রকাশ করে। শোক প্রস্তাবে প্রয়াত প্রণব মুখার্জির দীর্ঘ রাজনৈতিক ও কর্মজীবন তুলে ধরা হয়।
কোভিড-১৯ বা করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে বসা এবারের সংসদ অধিবেশন চলছে
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বৈঠক চলবে। রোস্টারভিত্তিক প্রতিদিন ৮০ জনের মতো সদস্য বৈঠকে অংশ নেবেন। অধিবেশন চলাকালে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সবারই কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ ফলাফল থাকতে হবে। অংশগ্রহণকারী সংসদ সদস্যদেরও করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। গত দুটি (৭ম ও ৮ম) অধিবেশনের মতো নবম অধিবেশনও সংবাদ কর্মীদের সংসদ টেলিভিশন থেকে সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, অধিবেশনে দায়িত্ব পালনকারী সবাইকে নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে করোনাভাইরাস নেগেটিভ নিশ্চিত করা হয়েছে।
চলতি অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাসের কথা রয়েছে। তবে স্বল্প সময়ের এই অধিবেশনে বিলগুলো পাস করা কঠিন হবে। কারণ, বিগত দুটি অধিবেশনের মতো এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হবে, যা সর্বোচ্চ পাঁচদিন চলতে পারে।
এর আগে গত ১০ জুন একাদশ জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়ে গত ৯ জুলাই শেষ হয়। মোট নয় কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে চলতি অর্থবছরের বাজেট পেশ ও পাস করা হয়। সে অধিবেশনে বাজেট পাসসহ ১৬টি সরকারি বিলের মধ্যে পাঁচটি সরকারি বিল পাস হয়। এর আগে করোনা সংক্রমণের শুরুর দিকে গত এপ্রিলে অল্প সময়ের জন্য বসেছিল সংসদ।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর | Sun News