নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক অনাকাঙ্ক্ষিত। নির্বাচনের ফেয়ারনেসকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভক্ত হয়ে গেছে, এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না।
আরও পড়ুন: জাপার প্রার্থী ঘোষণা বিকেলে
সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ৩ দিনব্যাপী ১০৫ জন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রথম দিন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পেশাওয়ারের যুদ্ধ সংঘটিত
আমরা একটি ফ্রি ফেয়ার ও ক্রেডিবল ইলেকশন চাচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো, আমাদের নির্বাচনে বাইরে থেকে থাবা বা হাত এসে পড়েছে। তারা থাবা বিস্তার করে রেখেছে। এজন্য আমাদের ভবিষ্যৎ ও অর্থনীতি রক্ষা করতে হলে নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ সার্বভৌম নয়। আমাদের যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র কমেন্ট করতে পারে, আমরা কিন্তু ওয়াশিংটনে গিয়ে হুমকি-ধামকি দিতে পারছি না। তবে নিজেকে বাঁচাতে, সাধারণ জনগণকে বাঁচাতে ও গার্মেন্টস শিল্পকে বাঁচাতে হলে যে দাবিটা আমাদের বা বাইরের, ওরা খুব বেশি দাবি করেনি।
বিদেশিদের একটাই দাবি, বাংলাদেশের নির্বাচন ফ্রি, ফেয়ার ও ক্রেডিবল হতে হবে।
আরও পড়ুন: দাঁড়িয়ে থাকা ৩ বাসে আগুন
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে যে বিতর্ক হচ্ছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি দ্বিধাবিভক্ত, দেশ সংকটে। এখান থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। নির্বাচনে আমরা অবিতর্কিত ফলাফল দেখতে চাই। সব এজেন্ট যেন ফলাফল গ্রহণ করেন।
এ সময় সিনিয়র সহকারী জজ ও যুগ্ম জেলা জজদের উদ্দেশ্যে সিইসি বলেন, নির্বাচনকালে দায়িত্ব পালনে যেন সততা ও সাহসিকতা থাকে। বাংলাদেশ একটা প্রজাতন্ত্র। নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশ কখনো প্রজাতন্ত্র হতে পারে না।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় বাসে আগুন
তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্র মানেই জনগণের প্রতিনিধিদের দ্বারা শাসন পদ্ধতি। একনায়কতন্ত্র ও রাজতন্ত্র খুব খারাপতন্ত্র, আমরা তা বলছি না। তবে প্রজাতন্ত্রের শাসন ব্যবস্থা সবচেয়ে জনপ্রিয়।
গণতন্ত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ইলেকশন ক্রেডিবল হতে হবে। ক্রেডিবল বিশ্বাসযোগ্য জিনিস, এটা চোখে দেখা যায় না। তারপরও এটাকে বলা হয় পাবলিক পারসেপশন।
নির্বাচন ক্রেডিবল ও ফ্রি হয়েছে কি না, ওটা পাবলিক পারসেপশন। এর কোনো মানদণ্ড নেই। জনগণকে বলতে হবে। নির্বাচন ক্রেডিবল হতে হবে।
সান নিউজ/এনজে