নিজস্ব প্রতিবেদক: পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২৫০০ টাকা নির্ধারণ করেছে মজুরি বোর্ড। সরকার নির্ধারিত নতুন এ মজুরির ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে ফের আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের শেষে বাজার স্বাভাবিক হবে
শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা করেন তারা।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্টনের তোপখানা রোডে মজুরি বোর্ডের সামনে কয়েকটি গার্মেন্টস সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এ সময় শ্রমিক আন্দোলনের সমন্বয়ক তাসলিমা আখতার জানান, মজুরি বোর্ড যে প্রহসনের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে দিয়েছে, তা দেশের ৪০ লক্ষ শ্রমিক প্রত্যাখ্যান করেছে। শ্রমিকেরা কখনোই এ প্রস্তাব মেনে নেবে না।
তিনি আরও বলেন, মালিকপক্ষ ও সরকার শ্রমিকদের কখনোই মানুষ মনে করে না। শুক্রবার আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচির আহ্বান করছি। সেখান থেকে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা করবো।
আরও পড়ুন: ২ উপনির্বাচনে ফলাফলের গেজেট স্থগিত
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষ জানান, দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে এ মজুরি অপ্রতুল। ১২৫০০ টাকায় এখন কোনোভাবেই একজন শ্রমিকের জীবন চলবে না। এ মজুরি পরিবর্তন করে শ্রমিকদের বাঁচার মতো মজুরি নির্ধারণ করতে হবে।
এ দিন বিকেলে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২৫০০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নতুন এ মজুরি ঘোষণা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সভায় অংশ নেয়া শ্রমিক প্রতিনিধি এ সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য বলে মনে করে। আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এ মজুরি কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় আসছে ইইউ’র প্রতিনিধিদল
প্রসঙ্গত, গত ২ সপ্তাহ ধরে ন্যূনতম মজুরি ২৩০০০ টাকা করার দাবিতে দেশের পোশাক শ্রমিকেরা আন্দোলন করছেন। এতে বেশকিছু কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকে বন্ধ কারখানাগুলো ধীরে ধীরে চালু হতে শুরু করেছে।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৮ সালে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী, পোশাক শ্রমিকরা ৮০০০ টাকা ন্যূনতম মজুরি পাচ্ছিলেন। সে হিসেবে আগের তুলনায় ন্যূনতম মজুরি ৪৫০০ টাকা বেড়েছে।
সান নিউজ/এনজে