নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজারের মহেশখালীতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ু ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’
সিপিএ সচিব ওমর ফারুক জানিয়েছেন, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) থেকে অধিগ্রহণ করা চ্যানেলটি চালু করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (সিপিএ) সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে। ২০২৬ সালে বন্দরটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একইসঙ্গে গভীর সমুদ্রবন্দরের প্রথম টার্মিনাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করবেন। এদিন ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কনটেইনার জেটি এবং ১৮.৫ মিটার ড্রাফটসহ (জাহাজের নিচের অংশ) ৩০০ মিটার দীর্ঘ একটি বহুমুখী জেটি এবং একটি কনটেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর ও অন্যান্য সুবিধার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই উন্নয়নের ফলে ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার কনটেইনার জাহাজ সরাসরি জেটিতে প্রবেশ করতে পারবে।
সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, ইতোমধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে কোম্পানিটি মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলটি সিপিএ চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেলের কাছে হস্তান্তর করেছে।
আরও পড়ুন: গাজায় যুদ্ধ-দখলদারিত্ব বন্ধের আহ্বান
রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিপিজিসিবিএল ইতোমধ্যে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের অংশ হিসাবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এই চ্যানেলের মাধ্যমে ১২০টি জাহাজ চলাচলের জন্য চ্যানেল এবং দুটি জেটি নির্মাণ করেছে। দেশের প্রথম এবং একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পটি প্রায় ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী মাতারবাড়ি বন্দর নির্মাণের জন্য ২০১৮ সালের ২৯ নভেম্বর চ্যানেলের প্রস্থ ১০০ মিটার বাড়িয়ে ৩৫০ মিটার করা হয়।
সান নিউজ/টিও