নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষ নিরাপদে থাকে। আর বিএনপি কী করে, জনগণের ভোট চুরি। জনগণের অর্থ চুরি। জনগণকে হত্যা করা ও তাদের ওপর নির্যাতন আর নানা ধরনের অপকর্ম করা করা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন : বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলব
শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ২৮ অক্টোবর কী ঘটনা তারা ঘটাল। কোনো মানুষ যার ভেতরে এতটুকু মনুষ্যত্ব আছে, তারা কি পারে- ওই পুলিশ কী দোষটা করেছে। আমি তো পুলিশকে ধন্যবাদ জানাব যে তারা সেই দিন যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। তারা সহনশীলতা দেখিয়েছে। অথচ ওই পুলিশের ওপর তারা (বিএনপি) হামলা করেছে। পুলিশ পেছনে হটে গেছে, তারপরেও এক পুলিশকে ধরে মাটিতে ফেলে যেভাবে তার ওপর লাঠিপেটা করেছে, মাথায় কুপিয়েছে, হেলমেটটা পরা ছিল খুলে ফেলে দিয়ে তারপর মাথায় কুপিয়েছে। পুলিশের হাসপাতাল রাজারবাগ ঢুকে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানে তাদের ওপর হামলা করেছে। আনসারের ওপর আক্রমণ করেছে। আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এমনকি বিশেষ করে মহিলা নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করেছে। কারণ, তারা মিছিল নিয়ে আসছিল আমাদের শান্তি সমাবেশে যেতে, সেখানে বিএনপির গুন্ডারা; গুন্ডাই বলব, সন্ত্রাসীই বলব- আমাদের সেই মেয়েদেরকে রাস্তার ওপর ফেলে তাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আমি ধিক্কার জানাই, এটা কি রাজনীতি?
আরও পড়ুন : সবার সঙ্গে মতবিনিময় করতে চাই
সরকারপ্রধান বলেন, আর পুলিশকে আজকে না- সেই ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ তে ২৯ জন পুলিশ হত্যা করেছিল এই বিএনপি-জামায়াত। রাজশাহীতে মাটিতে ফেলে কিভাবে পুলিশ হত্যা করেছিল সেটা স্মরণ রাখা দরকার এবং একে একে তাদের ওপর যেভাবে গাইবান্ধা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে তারা হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে। তারা কী দোষ করেছে। তারা তো চাকরি করে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেবে। আজকে অগ্নিসন্ত্রাস- এটাই তাদের (বিএনপি-জামায়াত) চরিত্র। তারা কথায় কথায় আগুন দেয়। যাত্রী বাসে আগুন দেয়। ২৮ তারিখেও একটা বাসে হেলপার ঘুমিয়ে আছে, সে জানেও না সেই বাসে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন তারা মানুষকে ভাত দিতে পারে নাই, মানুষকে ঘর দিতে পারে নাই, মানুষকে কাপড় দিতে পারে নাই। তাদের আমলে বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে আমাদের দেশের মানুষকে পরাতো। আর সেই মানুষগুলোর ওপর তারা এত অত্যাচার কিভাবে করে, কিভাবে করে? তাদের আন্দোলন হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের আন্দোলন হচ্ছে মানুষ খুন করা, তাদের আন্দোলন হচ্ছে ওই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ওপর হামলা করা। আর সবকিছু ধ্বংস করা। কেন এভাবে ধ্বংস করবে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে? তারা তো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে সৃষ্টি। কাজেই তাদের এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। আর এটা যদি বন্ধ না করে তাহলে কিভাবে বন্ধ করতে হয় সেটাও আমাদের জানা আছে। আমরা ছাড়ব না।
আরও পড়ুন : চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩
শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকাবাসীসহ আমি দেশবাসীকে আহ্বান করব যে যারা এইভাবে আগুন দিয়ে পোড়াবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। দরকার হলে তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। যেই হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে। তবেই তাদের শিক্ষা হবে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিলেন আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা বিরোধী দলের নেতাও হতে পারব না। আজ কে কোথায় আছে। আমি জনগণের সেবা করতে চাই, দেশের উন্নয়ন করতে চাই। আমি দারিদ্র্য কমিয়ে এনেছি, খালেদার সময় দেশের ৪১ শতাংশ মানুষ দরিদ্র ছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দেশ উন্নত হয়, মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়।
আরও পড়ুন : বিচার হবে বাইডেনের সেই উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, ২১ বছর মানুষ ছিল অন্ধকারে। আমি ক্ষমতায় এসে ব্রিজ করেছি, রাস্তাঘাট করেছি, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোরায় পৌঁছে দিয়েছি।
সান নিউজ/এমআর