নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেন টেলিযোগাযোগ ভবনের সামনে গত তিনদিন ধরে অবস্থান করছেন বিটিসিএলের অবৈতনিক নৈমিত্তিক (ক্যাজুয়েল) শ্রমিক-কর্মচারীরা। গত মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে এই অনড় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সারা দেশের তিন শতাধিক শ্রমিক-কর্মচারী। চাকরিগত সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কম্পিউটার অপারেটর, অপটিক্যাল ফাইবার ও কপার কেবল জয়েন্টর, টেলিফোন এক্সচেঞ্জের সুইচরুম জেনারেটরের ব্যাটারিকর্মী, সহকারী লাইনম্যান, অফিস সহকারী, মোটরগাড়ি চালক, পাচক, প্রহরী ও পরিচ্ছন্নকর্মীসহ বিভিন্ন পদে কর্মরতরা।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ওই শ্রমিকরা বলেন, ‘বিটিসিএলে যথেষ্ট শূন্যপদ থাকার পরও সারাদেশে আমরা তিন শতাধিক ক্যাজুয়েল শ্রমিক-কর্মচারী সরকারি রাজস্ব বাড়াতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছি। ঈদ, রমজান, বন্যা ঘুর্ণিঝড় ও করোনাকালের সরকারি ছুটি দিনগুলোতেও বিটিসিএলের এই ক্যাজুয়াল কর্মচারীরা নিজ নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত ও কর্মরত ছিলেন এবং বর্তমানেও আছেন। কিন্তু নেই কোনো বেতন কাঠামো ও চাকরিগত নিশ্চয়তা। ইতোমধ্যে যাদের বেতন বন্ধ হয়েছে, আজ তাদের পরিবার নিয়ে রাস্তায় থাকার উপক্রম হয়েছে, লঙ্ঘিত হচ্ছে মৌলিক অধিকার।’
ওই শ্রমিক-কর্মচারীরা গত বছরের ৯ জুলাই ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে কর্মরত ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের প্রশাসনিকভাবে স্বচ্ছ তালিকার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করে স্থায়ী নিয়োগের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু গত এক বছরেও ওই আবেদনে সাড়া দেয়নি মন্ত্রণালয়। তাই তারা বর্তমান শ্রমবান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
চাকরি স্থায়ী না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থান চালিয়ে যাবেন বলে জানান বিটিসিএল ক্যাজুয়েল শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির আন্দোলন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন।