নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবাদিকদের যেভাবে মাটিতে ফেলে পেটানো হলো, নির্যাতন চালানো হলো, এটা অমানবিক। যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে, তাদের শাস্তি পেতেই হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি সন্ত্রাসী দল
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্টসের (বিএফইউজে) প্রতিনিধি সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে মানুষ যত বেশি, সংবাদপত্র তারচেয়েও বেশি। উন্নত দেশেও এতো সংবাদপত্র নেই। এর বাইরেও বর্তমানে দেশে ৩৩ টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে রয়েছে। আরও ১৫ টি সম্প্রচারের অপেক্ষায়।
সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছি। এর বাইরেও প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণ তহবিল থেকে অসুস্থ ও ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা দিয়ে থাকি।
আরও পড়ুন: মিরপুরে শ্রমিক বিক্ষোভের তৃতীয় দিন
সরকারপ্রধান বলেন, আজ এখানে আসার আগেও কিছু ফাইল দেখে এসেছি। সাধ্য মতো দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, জাতির পিতা নিজেও সাংবাদিক ছিলেন। তাই আপনাদের মাঝে এলে আমি দাবি করি, আমি আপনাদেরই পরিবারের একজন। সাংবাদিক কলাকুশলীদের যাতে কর্মসংস্থান হয়, তার জন্য সমস্ত কিছু বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি।
এছাড়া তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন ও জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রায় লাখ টাকা কমলো হজের খরচ
এ সময় গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে সাংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে সেদিন যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হয়েছে, তা দুঃখজনক। ২৮ অক্টোবর সমাবেশ করতে চেয়েছে বিএনপি। আরও কয়েকটি ছোট ছোট দল ছিল। আমরা বাধা দেইনি।
তিনি বলেন, তারা কথা দিয়েছিল শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবে। কিন্তু দেখা গেল, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে তারা সেখানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলো।
তাদের লক্ষ্যবস্তু দেখা গেল সাংবাদিক ও পুলিশ। সাংবাদিকদের যেভাবে মাটিতে ফেলে পেটানো হলো, নির্যাতন চালানো হলো, এটা অমানবিক। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: সহিংসতা দেখতে চায় না জাতিসংঘ
এটা কেন করা হলো, সেই প্রশ্নের উত্তর বিএনপিকে দিতে হবে। যারা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তাদের শাস্তি পেতেই হবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রতিটি ক্ষেত্রকে বেসরকারির জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসার পর প্রতিটি ক্ষেত্রকে বেসরকারির জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত আমরা সরকারে ছিলাম। সরকারে আসার পর মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল। তখন প্রতিটি ক্ষেত্রকে বেসরকারির জন্য উন্মুক্ত করে দেই।
আরও পড়ুন: মিরপুরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
যুদ্ধে বিজয়ী বাঙালি জাতি যেন বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সেই লক্ষ্য ছিল বঙ্গবন্ধুর। জাতির পিতার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য নিয়ে আমি দেশে ফিরে আসি। মাত্র ৩ বছর ৭ মাস তিনি সময় পেয়েছিলেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করতে চেয়েছিলেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কল্যাণ ফান্ডে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন সরকারপ্রধান।
বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
সান নিউজ/এনজে