নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বহুল প্রত্যাশিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করতে চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন।
আরও পড়ুন: ধামরাইয়ে ককটেল বিস্ফোরণ
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা ১১টার হেলিকপ্টারযোগে নেভাল অ্যাকাডেমিতে পৌঁছান তিনি। কিছুক্ষণ পর প্রধানমন্ত্রী পতেঙ্গা প্রান্তে টানেল উদ্বোধন করবেন।
এরপর টানেল দিয়ে আনোয়ারা প্রান্তে পৌঁছে টোল প্রদান করবেন তিনি। সেখান থেকে কর্ণফুলী কেইপিজেড মাঠে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
জানা যায়, কর্ণফুলী নদীর ২ তীর সংযুক্ত করে চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে টানেলটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং টানেল প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী ১ম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: জামায়েতের মিছিল বন্ধ
নির্মাণের আগে করা সমীক্ষা প্রতিবেদন অনুসারে, টানেল চালুর পর এর ভেতর দিয়ে বছরে ৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তাতে দিনে চলতে পারবে ১৭ হাজার ২৬০টি গাড়ি। ২০২৫ সাল নাগাদ টানেল দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২৮ হাজার ৩০৫টি যানবাহন চলাচল করবে। ২০৩০ সাল নাগাদ গড়ে ৩৭ হাজার ৯৪৬টি ও ২০৬৭ সাল নাগাদ ১ লাখ ৬২ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা আছে।
টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিচ্ছে চীন সরকার। চীনের এক্সিম ব্যাংক ২% হারে ২০ বছর মেয়াদি এ ঋণ দিয়েছে। চীনের কমিউনিকেশন ও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (সিসিসিসি) টানেল নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছিল।
সান নিউজ/এএ