ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা তিনশো ছাড়িয়েছে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও গণপরিবহন বন্ধ করেও এ ভাইরাসের দ্রুত বিস্তার ঠেকানো যাচ্ছে না, আটকানো যাচ্ছে না অন্য দেশে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, শনিবার একদিনেই নতুন করে ২ হাজার ৫৯০ জনের শরীরে এ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাতে চীনে এ পর্যন্ত আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৮০ জনে। আরও ৪৫ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে চীনে এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০৪ জনে। চীনের বাইরে প্রথম এ ভাইরাসে মৃত্যুর খবর এসেছে ফিলিপিন্স থেকে, তিনি চীনেরই একজন নাগরিক।
আর করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন চীনা চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে চীনের হুনান প্রদেশে আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে বার্ড ফ্লু।
শনিবার চীনের কৃষি ও গ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় হুনান প্রদেশের এক খামারে বার্ড ফ্লু সৃষ্টিকারী এইচ৫এন১ ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। ওই খামারের প্রায় আট হাজার মুরগির অর্ধেকেরও বেশি ইতোমধ্যেই বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।
এদিকে করোনা ভাইরাসের কারণে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সাময়িকভাবে চীনা নাগরিকদের যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিয়ম করেছি, এখানে যেসব চীনা নাগরিক কর্মরত আছেন, তারা যেন এখন চীনে না যান। একইভাবে যারা চীন থেকে আসেন, তাদের অন অ্যারাইভাল ভিসা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তারা আসতে হলে ভিসা নিয়ে আসতে হবে এবং ভিসা আবেদনের সঙ্গে একটি মেডিক্যাল সার্টিফিকেট দিতে হবে। এটি সাময়িক, আমরা চীনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছি। এতে তাদেরও কোনও আপত্তি নেই। আমরা যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছি। আমরা তাদের অনুরোধ করেছি, তাদের প্রকল্পে চীন থেকে নতুন লোক নিয়োগ না দিলে ভালো হয়।
বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এটি কোনও সমস্যা হবে কিনা, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। এর কোনও প্রভাব বাণিজ্যে পড়বে না।’ এরইমধ্যে চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ঢাকায় ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।