নিজস্ব প্রতিবেদক : পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সিন্ডিকেট বলে কোনো সংস্থা নেই, তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কৌশল আছে, যা প্রায়ই পণ্যমূল্য বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন : বাজার সম্প্রসারণে মানের গুরুত্ব সর্বাধিক
শনিবার (১৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ কৃষিজ পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছা নিয়ে এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী জানান, প্রতিনিয়তই ভোক্তা বাড়ছে। পণ্যের যোগান সুনির্দিষ্ট কিন্তু চাহিদা ক্রমবর্ধমান। যার ফলে মাঝে মাঝেই বাজার অস্থির ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশি অভিযান বা জরিমানা করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাটা সাময়িক। টিসিবিকে জীবিত রেখে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাজার পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় পণ্য সরকারিভাবে মজুদ ও উৎপাদন বাড়িয়ে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। জাতীয় নির্বাচনকালীন চা, চিনিসহ আরও কিছু পণ্যের চাহিদা বাড়ায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে। তবে তা নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
আরও পড়ুন : মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে বিএনপির অবদান নেই
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির যৌথ আয়োজনে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন । সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
পরে, ছায়া সংসদে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিতার্কিকদের হারিয়ে ইডেন কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, অধ্যাপক ড. তাজুল ইসলাম চৌধুরী তুহিন, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, দৌলত আক্তার মালা ও কাবেরী মৈত্রেয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
সান নিউজ/এমএ