নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৪ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সি আর দত্তকে (বীর উত্তম) গার্ড অব অনার দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা ১০মিনিটে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার দেন।
পরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ ও ঢাকার জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম। পরে একে একে সি আর দত্তের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, লালবাগ পূজা থানা কমিটি, বিএমএ সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাবেক সংসদ সদস্য খ ম জাহাঙ্গীর, আওয়ামী লীগের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
সেখান থেকে মঙ্গলবার বেলা ১২টায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রাজারবাগ মহাশ্মশানে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্যানুষ্ঠান হবে।
২৫ আগস্ট বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সি আর দত্ত শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
সি আর দত্তের জন্ম ১৯২৭ সালের ১ জানুয়ারি আসামের শিলংয়ে। তার পৈতৃক বাড়ি হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশি গ্রামে। তার বাবার নাম উপেন্দ্র চন্দ্র দত্ত এবং মায়ের নাম লাবণ্য প্রভা দত্ত।
বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন সি আর দত্ত।
মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য চিত্ত রঞ্জন দত্ত বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন। এছাড়া ঢাকার কাঁটাবন থেকে কারওয়ানবাজার সিগন্যাল পর্যন্ত সড়কটি ‘বীরউত্তম সি আর দত্ত’ সড়ক নামে নামকরণ করা হয়।
সান নিউজ/ আরএইচ/ এআর