নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগ হ্রাসে কার্যক্রম জোরদার করা হচ্ছে
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চতুর্থ ‘বাংলাদেশ লেদার ফুটওয়্যার অ্যান্ড লেদারগুডস ইন্টারন্যাশনাল সোর্সিং শো (ব্লিস)-২০২৩’ উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে চামড়া শিল্পে বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রথমত বাণিজ্যিক খামার সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। গবাদি পশু পালনেও বিপ্লব ঘটেছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৫ লাখ গবাদি পশু উৎপাদিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ডিম দিবস আজ
দ্বিতীয়ত মাত্র এক দশক আগে দেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগই আসতো কাঁচামাল হিসেবে চামড়া রফতানি থেকে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রণোদনা ও নীতিগত সহায়তায় উচ্চ মূল্য সংযোজন পণ্য, যেমন- পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য শিল্পের সম্প্রসারণ হয়েছে। এখন এ খাতের রফতানি আয়ের প্রায় ৯৩ শতাংশ পাদুকা ও চামড়াজাত পণ্য থেকে আসছে।
আরও পড়ুন: সেই বিচারকের দণ্ড স্থগিত
তৃতীয়ত আমাদের সরকারই হাজারীবাগে পরিবেশগত সমস্যার সমাধানে সক্রিয় পদক্ষেপ নিয়ে ট্যানারি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে পরিপূর্ণভাবে সাভারে আধুনিক শিল্প নগরীতে স্থানান্তর করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে একটি পৃথক ‘চামড়া উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ করে দেওয়া হবে, যাতে এ খাতের ছোটখাট নানা সমস্যা মোকাবিলা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন
তিনি আরও বলেন, এ খাতের সমস্যা সমাধানে ও কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে অঞ্চল ভিত্তিক অত্যাধুনিক কসাইখানা প্রতিষ্ঠা এবং ট্যানারি শিল্প গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা তার সরকারের রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঢাকার সাভারের পর চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর নাম উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ক্রমবর্ধমান সরবরাহের পুরোটাই ফিনিশড প্রডাক্ট তৈরি করে রফতানি করতে পারলে অনায়াসে ২০২৫ সালের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা খাত থেকে ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার আয় সম্ভব।
আরও পড়ুন: সারাদেশে অনশন করবে বিএনপি
তবে সেক্ষেত্রে পণ্য রফতানিতে বৈচিত্র আনয়ন ও রফতানি পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধিতে গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ইকোনমিক ডিপ্লোম্যাসির এ যুগে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যকে ত্বরান্বিত করতে এবং নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে চেষ্টা করছে সরকার।
আমরা সারা দেশে ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছি। ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে এখন বিনিয়োগ ও সোর্সিং-এর জন্য সর্বাধিক অনুকূল গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২৪ নভেম্বর
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান আন্তর্জাতিক বিমান পরিচালনা রুটের মধ্যে পড়ায় প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের একটি সেতুবন্ধ হতে পারে। সেভাবেই বাংলাদেশকে উন্নত করা হচ্ছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অ্যাডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জোনাথন ববেট এবং গোল্ডেন চ্যাং গ্রুপের বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠাতা জেমস হো।
আরও পড়ুন: এইচপিভি টিকা কার্যক্রম শুরু
এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এলএফএমইএবি) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর।
১২-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এলএফএমইএবি) যৌথভাবে আন্তর্জাতিক এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
সান নিউজ/এনজে