নিজস্ব প্রতিবেদক: ফিলিস্তিনে দীর্ঘ দিন ধরে নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপর ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে সম্মিলিত ইসলামী দলের উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার বাদ আসর রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমের উত্তর গেট থেকে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে বঙ্গকন্যার শ্রদ্ধা
বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মুকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাজলিসে সাদরাতের সদস্য মীরেরসরাইয়ের পীর শাহ আব্দুল মমিন নাছেরি।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদ এর মহাসচিব মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ আশরাফী, সম্মিলিত ইসলামী দল সমূহের সমন্বয়ক মুফতি ড. খলিলুর রহমান মাদানী, খেলাফত আনদোলনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী, মুসলিম জনতা ঐক্য পরিষদের আমির মাওলানা আজীজুর রহমান আজীজ, মজলিসুল মুফাসসিরিন এর সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ গোপালগঞ্জী হুজুর ছারছীনার পীর সাহেব আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, পীর মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, জনসেবা আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ইয়ামিন,খেলাফতে রব্বানির মহাসচিব মাওলানা লুৎফর রহমান,আহকামে হেফাজতের সদস্য সচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর মাতুব্বর অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ড. মওলানা হাবিবুর রহমান, জাতীয় ক্ষতি পরিষদের আমির মুফতি মাসুদুর রহমান জাহেদী,কওমী মুভমেন্ট এর মহাসচিব মাওলানা হাফেজ শফিকুল ইসলাম হাফেজজী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল মান্নান, কামেশ্বরিয়া হেফাজত কমিটির মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুস সবুর মাতব্বর, ইসলামী ঐক্য জোটের কেন্দ্রীয় নেতা মুফতি সানাউল্লাহ রহমানী, মুফাসসেরে কোরআন মাওলানা আবুল কাশেম গাজী, মুহাদ্দিস মাওলানা মাহফুজুর রহমান পাঠান, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ মাদানী, মুহাদ্দিস ডক্টর জাকির হোসাইন আজহারী, মুফতি শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
আরও পড়ুন: অপ্রয়োজনে হর্ন বাজানো নিষেধ
বিক্ষোভ মিছিল পুর্ব সমাবেশে আলেম ওলামা নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের বর্বরোচিত হামলার ধিক্কার জানিয়ে বলেছেন, হানাদার ইসরায়েলি বাহিনী বিগত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনের জনগণের আবাসন ভূমি ও সমগ্র বিশ্বের মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান পূণ্যভূমি মসজিদুল আকসা জবরদখল করে রেখেছে। এছাড়াও এই দীর্ঘ সময় ধরে ইসরায়েলিরা ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপর বর্বর গণহত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। চলমান সহিংসতার জন্য ইসরাইল একাই দায়ী। অনতিবিলম্বে তাদের এই আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে। আমরা বাংলাদেশের শান্তিকামী জনসাধারণের পক্ষ থেকে অবৈধ দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর এই বর্বর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসাথে কিছু দেশ যুগ যুগ ধরে মুসলমানদের উপর আক্রমণকারীদের পক্ষাবলম্বন করে মানবতাবিরোধী কাজ করছে। আমরা তাদের ধিক্কার জানাচ্ছি।
তারা আরও বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যার বিষয়ে জাতিসংঘের কোনও প্রতিবাদ আমরা দেখছি না। মুসলিম জাগরণ শুরু হয়ে গেছে। বায়তুল মোকাদ্দাস রক্ষায় আমরা বুকের তাজা রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি। আমরা মাজলুমদের পক্ষে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। জাতিসংঘের দায়িত্ব হচ্ছে মজলুম ফিলিস্তিনি মুসলমানদের পক্ষে দাঁড়িয়ে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। বিশ্ববাসীর কাছে এ কথা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ফিলিস্তিন সমস্যার কোনো সমাধান হবে না। তাই অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিলিস্তিনের ক্ষতিগ্রস্তদের মানবিক সাহায্য দেয়ার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্বের দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল বন্ধ ৩ দিন
আলেম ওলামাবৃন্দ মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ীভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা পালন করার জন্য ওআইসি, জাতিসঙ্ঘ, শান্তিকামী বিশ্ববাসী ও মুসলিম দেশগুলোর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকেও ইসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশসহ রাষ্ট্রীয়ভাবে আনুষ্ঠানিক জোরালো নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর অনুরোধ জানান।
সান নিউজ/এএ