নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর কাকরাইলে এসএ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিস কার্যালয়ে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার খবর দেওয়া হলেও সেখানে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণ ঘটছে এবং হঠাৎ হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠছে।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১০ টা ১০ মিনেটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পরে ১০ টি ইউনিট কাজ করে প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় পরে আগুন নিয়ন্ত্রণের খবর জানান তারা।
ফায়ার সার্ভিস বলছে, কুরিয়ার সার্ভিসে বিস্ফোরক জাতীয় জিনিসপত্র আনলে সেগুলো আলাদা করে রাখাসহ তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানোর নিয়ম রয়েছে। এসএ পরিবহনের অফিসে সে নিয়ম মানা হয়নি।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৩৭
এখানে পটকা ও সিলিন্ডারসহ বিস্ফোরক জাতীয় পণ্য সাধারণ পণ্যের সাথে একই জায়গায় রাখা হয়েছে, যা বড় ধরনের ব্যত্যয়।
সরেজমিনে কাকরাইল এসএ পরিবহন কার্যালয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনো পানি দিয়ে যাচ্ছেন এবং সাথে ফোম স্প্রে করছেন। আবার অনেক কর্মীকে বালি ভর্তি বস্তা নিয়ে সেখানে ফেলতে দেখা যায়।
এখন পর্যন্ত ভবনটির নিচ তলায় তারা স্প্রে করে যাচ্ছেন। তবে সেখানে ক্ষণে ক্ষণে ছোট বড় বিস্ফোরণ ও আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ দুপুরে
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম জানান, আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু আপনারা দেখতে পাচ্ছেন, এখানে ক্ষণে ক্ষণে ছোট বড় বিস্ফোরণ ঘটছে।
তিনি বলেন, আমরা শুধু পানি ব্যবহার করছি না। এখানে ফোম স্প্রে করা হচ্ছে, যাতে ভেতরে পরিবেশটা একটু ঠান্ডা হয়। সেই সাথে আমরা ভেতরে বালিও ছিটিয়ে দিচ্ছি।
আরও পড়ুন: এসএ পরিবহনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের কারণ জানতে চাইলে মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রাথমিকভাবে যেটা বুঝতে পারছি, এখানে ফায়ার সেফটি ব্যবস্থা দুর্বল ছিল।
সাধারণত যে নিয়ম কঠোরভাবে পরিপালন করতে হয় সেটা হচ্ছে- কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসা সাধারণ পণ্যগুলো আলাদা করে রাখা ও বিস্ফোরক বা অন্য রাসায়নিক দ্রব্য সঠিকভাবে আলাদা করে রক্ষণাবেক্ষণ করা। আমরা এখানে সেটা দেখছি না।
আরও পড়ুন: এসএ পরিবহন কার্যালয়ে আগুন
তিনি বলেন, এখানে সাধারণ পণ্যের সাথে বিস্ফোরক ও রাসায়নিক দ্রব্য একই সাথে রাখা হয়েছে। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণ ঘটছে। আগুন পুরোপুরি নির্বাপনের পর বুঝতে পারবো, ভেতরে আসলে কি ধরনের জিনিস রাখা হয়েছিল।
তাদের ফায়ার সেফটি সিকিউরিটির কাগজপত্র ঠিক আছে কিনা, সেটা পর্যালোচনা করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত এটা প্রতিমান যে, সেখানে ফাস্ট সেফটির ব্যবস্থা দুর্বল ছিল, আগুন বা নির্বাপনের জন্য তাদের যথাযথ ব্যবস্থা ছিল না।
সান নিউজ/এনজে