নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, চীন ও বাংলাদেশের অবিচল পারস্পরিক আস্থা নিয়ে আমরা সবসময়ই সন্তুষ্ট। ২০১৬ সালে চীন ও বাংলাদেশ সম্পর্ক সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত হয় ও ২০১৯ সালে গভীরতা পায়। চীন ও বাংলাদেশ মূল স্বার্থ ও উদ্যোগের বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: ৪ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস
রোববার (৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সোনারগাও হোটেলে গণ চীনের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ-চায়না সিল্ক রোড ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা জানান।
তিনি জানায়, হাজার বছর আগেও চীনের সঙ্গে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ছিল। ১৯৫২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চীনে গিয়েছেন। ১৯৫৭ সালে রাষ্ট্রীয় সফরেও চীনে যান। চীনের মহান নেতা মাও সেতুংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তখন। তার দেখা চীন নিয়ে 'আমার দেখা নয়া চীন' বইটি লিখেছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী-জাপানের উপমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১০, ১৪ ও ১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে গিয়েছিলেন। চীনা প্রধানমন্ত্রী ২০১৬ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন। তার মাধ্যমে ২ দেশের সম্পর্ককে আরও গভীরতর করেছে। এরপর থেকে আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পে চীন সহযোগিতা করে চলেছে। সম্প্রতি ২০২৩ সালে ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট ২ দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি খাতে সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন এবং ২ দেশের সম্পর্কের অধিকতর কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ চায়না সিল্ক রোড ফোরামের চেয়ারম্যান দিলীপ বড়ুয়া, কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম, চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ প্রমুখ।
সান নিউজ/এএ