নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তঃজেলায় বিমান যোগাযোগের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা আছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা আরও কিছু বিমান কিনবো। এয়ারবাসের সাথে এমওইউ সই হয়েছে।
আরও পড়ুন: দৃষ্টিনন্দন তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন
শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২ টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেন তিনি।
উদ্বোধনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আজ সারা বিশ্ব চিন্তিত। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ করেছি এবং ২০২১ সালে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের যাত্রা শুরু করবে। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে, সে লক্ষ্য নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই আমাদের দেশ এগিয়ে যাক, এভিয়েশন খাতের আরও উন্নতি হোক।
আরও পড়ুন: শাহজালালের ৩য় টার্মিনাল উদ্বোধন আজ
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে এ খাতে উন্নয়নের এতো পদক্ষেপ কেউ নেয়নি। ২৯ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা দেশের মানুষকে কিছু দিয়ে যেতে পারেননি।
আওয়ামী লীগ দিয়েছে। আমরা মানুষের মধ্যে একটা আত্মমর্যাদা বোধ তৈরি করে দিয়েছি, বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে বছরে প্রায় ৮০ লাখ যাত্রীর সেবা দেওয়া হয়। তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু হলে আরও ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে। আমি বিশ্বাস করি, এটাই হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব। আমরা সেভাবে তৈরি করছি।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই ঢাকা-গুয়াহাটি বিমান চালু হবে
সরকারপ্রধান বলেন, আপনারা জানেন, সময়ে সময়ে পরিবর্তন হয়। এক সময় বেশি বিমান পরিবহন হতো হংকংয়ে। এখন দুবাই করে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশ হবে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহনের হাব।
আমরা নতুন কিছু বিমান কিনবো। এয়ারবাসের সাথে এমওইউ সই হয়েছে। তারা আামদের কিছু লোনও দেবে। হযরত শাহজালাল বিমাবন্দরের নানামুখী উন্নয়নের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।
আরও পড়ুন: আজ দুপুরের মধ্যে কমবে বৃষ্টি
তিনি বলেন, জাপান সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। জাপানের জাইকা আমাদের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে ঋণ দিয়েছে। আমরাও কিছু বিনিয়োগ করেছি। ভবিষ্যতে আমরা আরও কিছু বিমান নেবো। তখন আন্তঃজেলা বিমান যোগাযোগ ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।
শনিবার সকাল ১০ টার পর বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে শিশুদের সাথে ছবি তোলেন এবং কথা বলেন তিনি। পরে টার্মিনালের করিডোর ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল শুরু
বিমানন্দরের প্রক্রিয়া অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাগেজ চেকিং করান, বোর্ডিং পাস নেন এবং যথারীতি ইমিগ্রেশনের কাজ শেষে কাউন্টার পার হন। পরে প্রি বোর্ডিং সিকিউরিটি স্ক্যান করান এবং চলন্ত ওয়াকওয়ে পার হয়ে বোর্ডিং ব্রিজে যান।
বিমানবন্দরের এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করে প্রধানমন্ত্রী তৃতীয় টার্মিনাল প্রাঙ্গণের অনুষ্ঠান স্থলে পৌঁছান। সেখানে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান।
আরও পড়ুন: আ’লীগের জনসভা স্থগিত
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী ও বিমান সচিব মেকাম্মেল হোসেন প্রমুখ। পরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিমান ও বিমানবন্দরের উন্নয়নের ওপর একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া বেবিচকের কর্মকাণ্ডের ওপরও একটি ডকুমেন্টারি দেখানো হয়।
এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন- বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাবিব হাসান, জাপান ও জাইকার প্রতিনিধি এবং মন্ত্রি পরিষদের সদস্যসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা।
সান নিউজ/এনজে