নিজস্ব প্রতিবেদক: গণমাধ্যমের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন আরোপ বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ মন্তব্য করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, পিটার হাসের এমন বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র খতিয়ে দেখবে বলে আশা রাখি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ৮ মাসে ৪৯৩ শিশু ধর্ষণ
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্যাংশনে গণমাধ্যমের সদস্যদের অর্ন্তুভুক্ত করা নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের মন্তব্যের বিষয়ে পাল্টা মন্তব্য করেন।
২৪ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিটার হাস জানান, ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যে বার্তা দিচ্ছে, তা সংখ্যার বিষয় না। সরকারপন্থী, বিরোধী দলীয়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থায় থাকুক, বিচার বিভাগের থাকুক, গণমাধ্যমে থাকুক, যেখানেই থাকুক না কেন; আচরণের ওপর ভিত্তি করে সবার ক্ষেত্রে আমরা নীতিটি ভারসাম্যপূর্ণ উপায়ে প্রয়োগ করছি। এটি তাদের কর্ম ছাড়া অন্য কিছুর ওপর ভিত্তি করে নয়।’
একই সাথে তিনি আরও বলেন, সরকার, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আগামীতে গণমাধ্যমও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: পাবনায় পৌঁছেছেন রাষ্ট্রপতি
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করায় জড়িত ব্যক্তিদের উপর ভিসানীতি আরোপ করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। ঐ ব্যক্তিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। ভিসানীতির আওতায় পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও এ নীতি প্রয়োগ হতে পারে।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন এমপি সিদ্দিকুর রহমান
বিবৃতিতে ম্যাথিউ মিলার আরও জানান, আমাদের আজকের পদক্ষেপগুলো শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য ও বিশ্বব্যাপী যারা গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
এর আগে, গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কেউ গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। এমনকি তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও মার্কিন ভিসা থেকে বঞ্চিত হবেন।
সান নিউজ/এএ