নিজস্ব প্রতিবেদক: সাবেক সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে ইসির কর্মশালা হবে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইসি ভবনে ইলেকশন কমিশনার ব্রিগে. জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গাড়ির ধাক্কায় যুবক নিহত
তিনি জানান, অবাধ ভোটাধিকার প্রয়োগ জনগণের সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ মৌলিক মানবাধিকার। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগসহ কালোটাকা ও পেশি শক্তির কারণে অবাধ ভোটাধিকার হরণ বা ব্যহত হয় বলে অনেকের ধারণা। এটা কখনও প্রত্যাশিত হতে পারে না। এমন বিরূপ বাস্তবতাকে প্রতিহত করতে প্রার্থী তার স্বার্থে ভোটকেন্দ্রের প্রতিটি বুথের জন্য ১ জন করে দক্ষ ও বিশ্বস্ত পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করে থাকেন।
তিনি আরও জানায়, নির্বাচন কমিশন এমন বাস্তবতার আলোকে ‘অবাধ ভোটাধিকার - প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকা’ বিষয়ে একটা কর্মশালা অক্টোবরের ১ম সপ্তাহে আয়োজন করতে যাচ্ছে। এ কর্মশালায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), নির্বাচন কমিশনার, সাবেক জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকবৃন্দ অংশ নিবেন। তাছাড়া কিছু প্রশ্ন ও বিষয়ের ওপর আলোচনার মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ওয়াশিংটন পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রশ্নগুলো হলো-
১. নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপি রোধে প্রার্থীর পক্ষে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা কী হতে পারে?
২. পোলিং এজেন্ট তার প্রার্থীর পক্ষে আইন ও বিধি অনুযায়ী কীভাবে দায়িত্ব পালন করে পোলিংকে স্বচ্ছতার রূপ দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে পারে?
৩. নির্বাচনের ফলাফলে জনমতের প্রকৃত প্রতিফলন ঘটিয়ে কীভাবে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করিয়ে আনতে পারেন?
৪. প্রার্থী কী ধরনের পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন এবং কীভাবে তাকে দায়বদ্ধ করবেন?
আরও পড়ুন: বিশ্ব মেরিটাইম দিবস
কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আলোচনার মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতকরণে প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টের ভূমিকাকে স্পষ্ট করা এবং সর্বসাধারণ, বিশেষত ভোটার সাধারণ, রাজনীতিবিদ ও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী-প্রার্থীদের গণমাধ্যমের বদান্যতায় তা জানানো।
সান নিউজ/এএ