নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিক মাছ ধরা ও অন্যান্য মানবিক কর্মকাণ্ডের কারণে ভঙ্গুর সামুদ্রিক পরিবেশের ক্ষতির হাত থেকে বিশ্বের মহাসাগর এবং নদীগুলো রক্ষায় মেরিন বায়োডাইভারসিটি অব এরিয়াজ বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন (বিবিএনজে) চুক্তিতে সই করেছেন।
আরও পড়ুন: ২৬ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির শপথ
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় জেনারেল অ্যাসেম্বলি বিল্ডিংয়ের ট্রিটি ইভেন্ট এলাকার গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ চুক্তি হয়। ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন অন দ্য ল অব দ্য সি’র অধীনে এ চুক্তি সই হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাকে প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততা সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, তিনি সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান ও নেদারল্যান্ডসের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী লিজে শ্রেইনেমাচারের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে জলবায়ু গতিশীলতার ওপর প্রাতরাশ শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম এশিয়া সহযোগিতা সংলাপসহ বেশ কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: হস্তক্ষেপ নয়, সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্রহস্তক্ষেপ নয়
মোমেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশ বাকি দেশগুলোর জন্য রোল মডেল হয়ে উঠেছে। ধনী দেশগুলো মূলত কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবদান মাত্র ০.৪৭ শতাংশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধনী দেশগুলোকে প্রতি বছর জলবায়ু তহবিলে ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মেনে চলার আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ধনী দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করে না। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জলবায়ু তহবিল থেকে নামমাত্র অর্থ পেয়েছে। প্রতিশ্রুতি মেনে চলার জন্য ধনী দেশগুলোর রাজনৈতিক অঙ্গীকার আবশ্যক।
আরও পড়ুন: ভারত গেল প্রথম চালানের ইলিশ
এ সময় অন্যদের মধ্যে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বিষয়ভিত্তিক রাষ্ট্রদূত সায়মা ওয়াজেদও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এএ