নিজস্ব প্রতিবেদক:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের মধ্যে যাদের আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি, তাদের একজনের বিষয়ে আমরা কিছুটা আশাবাদী। তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করা, এখনো আইনের মারপ্যাচে রয়েছে। এ বিষয়ে যা যা করা দরকার, সরকার সেই ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, মুজিববর্ষে আমরা বঙ্গবন্ধুর আরেকজন খুনিকে দেশে এনে বিচারের রায় কার্যকর করতে পারবো।’
শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১২ জন খুনির চূড়ান্ত বিচারে ফাঁসির রায় হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মহিউদ্দিন আহমেদকে ২০১০ সালের জানুয়ারিতে ফাঁসি দেওয়া হয়। ভারত থেকে দেশে এসে পলাতক আবদুল মাজেদকে ধরে গত ১২ এপ্রিল ফাঁসি দেওয়া হয়। আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান।
পলাতক খুনিরা হলেন, খন্দকার আবদুর রশিদ, এসএইচবিএম নূর চৌধুরী, শরিফুল হক ডালিম, রাশেদ চৌধুরী ও রিসালদার মোসলেহউদ্দিন।
সরকার জানিয়েছে, নূর চৌধুরী কানাডায় ও রাশেদ চৌধুরী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আছেন। বাকি তিনজন কোথায় আছেন বা কি নামে আছেন তার সঠিক তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবস্থান শনাক্ত করা পলাতক দুই খুনির মধ্যে একজনকে ধরে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অন্য যে খুনি (নূর চৌধুরী) কানাডায় পালিয়ে রয়েছেন, সে বিষয়ে সরকার বেশ অগ্রসর হয়েছে। তবে বাকি তিনজন কোথায় আছে বা কি নামে আছে তার সঠিক তথ্য এখনও নেই। আমরা সকল মিশনকে পত্র লিখেছি, তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। যেন আমরা পলাতক খুনিদের শনাক্ত করতে পারি।’
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ বেদিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/ এআর